আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:২৭

নৌকার জন্য নেতাদের মায়া কান্না!

ডান্ডিবার্তা | ১২ মার্চ, ২০২৪ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সদর-বন্দর আসনে নৌকার প্রার্থী পেতে ফের মায়া কান্না জুড়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে এর আগে বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোর পূর্বেও নৌকার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে কাটিয়েছেন বছর জুড়ে। তবে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় প্রার্থী হয়েও লেজ গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে। কারণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে নৌকার মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও সুযোগ ছিল। কিন্তু সদর-বন্দর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নৌকা না পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সাহস দেখায়নি। সূত্র বলছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ১০টায় ২নং রেল গেইটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত। তবে তাদের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনার জন্ম নিয়ছে। কারণ তারা আবারও সদর-বন্দর আসনে নৌকা প্রতীক দেয়ার দাবি জানিয়েছে। অথচ, তারাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সদর-বন্দর আসনে নৌকা দেয়ার জন্য গলাবাজি করেছেন। কিন্তু এই আসনে নৌকার প্রার্থীই দেয়া হয়নি। এছাড়া জাতীয় পার্টির সাথে জোট ও ছিল না এর থেকে বড় বিষয় হল স্বতন্ত্র নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে কোন রকম বাধা ছিল না। এত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাথে জোট না থাকার পরও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করেছেন। আর সেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নির্বাচনের পর বলছেন নির্বাচনের পর নেত্রী নারায়ণগঞ্জ আসার পর সব ক্ষোভ ভুলে গিয়েছিলেন। এখন সেই আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলই বলছেন, অনেকে বলেছিলো সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকা না দিলে বিষ খাবো। কেন্দ্রীয় নেতারা আসছিলো তখন। চলেন এক হাতে পয়জন নিয়া যাই সক্রেটিসের মতো। গিয়ে বলি হয় আপনারা খাবেন, না-হয় আমাদের খাওয়াবেন। আমি বলতে চাই সামনে এই সদর-বন্দর আসনে নৌকা দিতে হবে। নইলে এই পার্টি অফিসে কারা কারা বিষ হাতে নিয়ে বিষ খাবো সেটা ডিক্লেয়ার দিবো। এতে করে নেতাকর্মীরা আলোচনা সমালোচনা করেছেন নির্বাচনের পর আবারও কেন তার ক্ষোভ বেড়ে গেল। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে আজকে বলতে চাই, আপনারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। আগামী দিনে শেখ হাসিনা আপনাদের কোথায় থেকে কোথায় রাখবেন এটা মাননীয় নেত্রী জানেন। তবে আমরা চাই এই নারায়ণগঞ্জে আগামী দিনে পাঁচ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রার্থী আসুক, যেই আসুক, এই আসনে যাকেই নমিনেশন দেওয়া হোক সেটা আমরা মেনে নেবো। জি এম আরাফাতও প্রার্থী হয়েছিলেন সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রত্যাশী হিসেবে। কিন্তু সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না দেয়া হলেও তিনি সদর-বন্দর আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই সাহসিকতা দেখাননি। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আবারও সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রতীকের প্রার্থী দেয়া হয় সেটা নিয়ে গলাবাজি করছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা