সুশীলরা নগরবাসীর পাশে নেই!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট চাঁদাবাজদের উস্কানীতে নারায়ণগঞ্জের জঞ্জাল নামধারী হকাররা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চললেও নাগরিক কমিটি কিংবা সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা মুখে যেন কুলুপ এঁটে বসে আছে। হকাররা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের ২০ লাখ মানুষকে অশান্তিতে রাখতে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলছে। আর তাদের সাহস যোগাচ্ছে কিছু চাঁদাবাজ। যারা এই ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে থাকে। শুধু কয়েকজন চাঁদাবাজের সুবিধার জন্য ২০ লাখ মানুষকে জিম্মি করতে চাচ্ছে হকার নামধারী কিছু চাঁদাবাজ। আর বিপদে ফেলছে নিরিহ হকারদের। নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তিতে রাখতে এবার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে হকাররা শহরের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে জন সাধারণের চলাচলে যেমন বিঘœ সৃষ্টি করে রেখেছিল তেমন এদের কারণে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় শহরের লেগে থাকতো ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট। শহরের ৫টি রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী হকাররা যেন শহরবাসীর জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছিল। হকারদের দ্বারা পথচারীরা যেমন নিগৃত হতো তেমন লাচ্ছনার শিকার হতো। সেই সাথে হকারদের কারণে সব সময় রাস্তায় লেগে থাকত ভীড়। আর সেই ভীড়ের সুযোগে পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন কৌশলে মানুষের মালামাল ও টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে যেত। এসকল অভিশাপ থেকে নারায়ণগঞ্জবাসী অনেকটা মুক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয় নারায়ণগঞ্জে যারা বৈধ ভাবে কোটি টাকা খরচ করে দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল সেই হকারদের কারনে তাদের লোকশান গুনতে হতো। দেখা গেছে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে হকাররা নানা মুখরোচক কথা বলে বৈধ দোকানের চেয়েও বেশী দাম হাকিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে প্রতারনা করে আসছিল। সেই প্রতারনার হাত থেকেও মানুষরা কিছুটা হলেও কিছু দিন যাবত রক্ষা পাচ্ছেন। আর এ অশান্ত শহরকে শান্ত করায় সাধারণ মানুষ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে চলছে। সাধারণ মানুষ মনে করেন ২০ লাখ মানুষের কথা বিবেচনা করে এই সকল হকারদের যেন আর কোন সুযোগ না দেয়া হয়। এদিকে শহরকে অশান্ত করতে হকার নিয়ে হকার নেতারা এদিকে প্রশসনকে চ্যালেঞ্জ করায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যানজট ও হকার ইস্যু নিয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিনিধি। সভায় নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও হকার ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় শহরের ফুটপাতে কোনো হকার বসবে না। এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো বাস শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া হকারদের অযৌক্তিক আন্দোলন প্রতিহত করবে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে শহরের যানজট নিরসনে রমজানের জন্য সাংসদ সেলিম ওসমান ৪৫ লাখ টাকা পুলিশ সুপারের কাছে হস্তন্তর করেছেন। হকারদের অস্থায়ী ভাবে বেচাকেনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। তবে শহরে পান থেকে চুন খসলে যেসব সুশিলরা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে নগরীর ২০ লাখ মানুষের এই সমস্যায় তারা যেন মুখে কুলুপ এঁটে ঘরে বসে আছেন।