আ’লীগের তৃনমূলে চলছে লড়াই
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে বিরোধ দিন দিন চাঙ্গা হয়ে উঠছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা ইতিমধ্যেই তাদের গঠিত ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি ওয়ার্ডের নেতাদের দ্বারা পূর্ণ করে রেখেছেন যেকোন সময়ই প্রকাশ করতে পারেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে এক প্রকার বিদ্রোহ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জি এম আরাফাত এবং ১৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগর পাল্টা কমিটি করার প্রস্তুতি রেখেছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বস্ত করলে তারা পাল্টা কমিটি থেকে বিরত থেকেছেন। কিন্তু বিদ্রোহী করা নেতাদের প্রত্যাশা ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা থেকে বিরত থাকবেন। মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক ১৭টি ওয়ার্ডে গঠিত কমিটির নেতারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ইতিমধ্যেই তাদের কাছে জমা দিয়ে দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি। তবে এমতাবস্থায় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে শুরু হওয়া লড়াইয়ে জিতবে কারা? সূত্র বলছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি প্রকাশিত হয়। কমিটি প্রকাশের পর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের প্রতি কঠোর নির্দেশনা ছিল ১০দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে কমিটি বাতিল বলে গণ্য হবে। সেই আলোকে ওয়ার্ডের নেতৃত্বে থাকা নেতারা ইতিমধ্যোই ১৭টি ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির তালিকা মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার নিকট প্রেরণ করেছেন। আর সেই কমিটি মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দিচ্ছে। আর যেকোন সময়ই প্রকাশিত হতে পারে ১৭টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি প্রকাশের পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা মহানগরের কার্যালয়ে এসে তালা লাগিয়ে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সভা ডেকে সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরকে অব্যাহতি দেয়া হয় যেটা গত ২১ ফেব্রুয়ারি নিশ্চিত করেন মহানগরের দপ্তর সম্পাদক। পরবর্তীতে পাল্টা প্রতিবাদ করে বিদ্রোহ করার ইঙ্গিত দেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগর ও মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত। কিন্তু পরবর্তীতে ১৭টি ওয়ার্ডে কমিটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রে নালিশ দেন। আর সেই নালিশ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের কাছে প্রেরণ করেন পরবর্তীতে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে পৌঁছায় নালিশ এমনকি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছাতে পারে সেই নালিশ। তবে এই নালিশকে কোন রকম মাথা ব্যাথা হিসেবে না দেখে ১০দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ করে জমা রেখেছেন মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। আর সেই কমিটিগুলো যেকোন সময় প্রকাশ করতে পারেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এমনকি কমিটিগুলো এমন সময়ই প্রকাশিত করতে চান যে সময় কমিটিগুলো নিয়ে কোন রকম সমালোচনা করে সুবিধা করতে না পারে বিদ্রোহীরা। এদিকে বিদ্রোহ করা নেতারা প্রস্তুত রয়েছেন কমিটি দিলেই পাল্টা কমিটি প্রকাশ করার। এমতাবস্থায় কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি লড়াইয়ের অবস্থান থেকে জিতবেন কারা সেটাই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।