বন্দরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে ভোক্তাদের তোপের মুখে ব্যবসায়ী ও প্রশাসন
বন্দর প্রতিনিধি বন্দরে রোজার শুরুতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চ মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভোক্তাদের তোপের মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলার সরকারি দপ্তর প্রধান, স্থানীয় জন প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বন্দর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্য মূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় ভোক্তারা বলেন, রোজার শুরুতে বন্দরের বিভিন্ন বাজারে পেয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, খেসারি ডাল ১৪০ টাকা কেজি, লেবু ১০০ থেকে ১২০ টাকা হালিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বা মনিটরিং না থাকায় অসাধূ ব্যবসায়ীরা দুই দিনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। অপর এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবাসিক ভবনে খাবার হোটেল থাকতে পারবে না। যে সমস্ত আবাসিক ভবনে হোটেল রেস্তোরা রয়েছে তাদেরকে প্রথমে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। এরপর উচ্ছেদ করা হবে। ভুমি দস্যুদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন মহল্লায় মহল্লায় কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েছে। তাদের আটক করে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে। বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এ মোহাইমিন আল জিহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, সহকারি কমিশনার(ভুমি) মণিষা রাণী কর্মকার. ওসি (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল লতিফ প্রমুখ।