আন্দোলনের নামে আতংক সৃষ্টি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট পূর্বের মতই নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে আন্দোলনে রাজপথে থাকছে বিএনপি। তবে, বিএনপির আন্দোলন যতটুকু না সফল তার চেয়ে আতংক সৃষ্টিতে পারদর্শী তারা। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে আন্দোলনের চেয়ে আতংক সৃষ্টিতে তাদের যোগ্যতার প্রমান রেখেছে বলেও নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের কাছে তা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এদিকে নির্বাচনী পরবর্তী সময়ে বিএনপি কালো পতাকা মিছিল নিয়ে রাজপথে থাকার চেষ্টা করলেও তা পুলিশি বাধার মুখে পন্ড হয়েছে। এমনকি বিএনপির আন্দোলনে পুলিশ বাধা দিলেও তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেনি বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বিএনপির আন্দোলন নতুন ছবির ন্যায় তাদের আন্দোলন ফ্লপ হয়েছে বলেও সাধারন তাদের মন্তব্যে ব্যক্ত করেন। সূত্রমতে, নির্বাচনের আগ মুহুর্তে হাক ডাক বাজিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন নারায়নগঞ্জ বিএনপি। ১ দফা দাবিসহ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েও আলোর মুখ দেখেনি বিএনপিসহ তাদের শরীকদলগুলোর নেতৃবৃন্দ। তবে, পূর্বের নারায়নগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্ব যারাইছিল জেলা বিএনপির নেতৃত্বে গিয়াসউদ্দিন এবং গোলাম ফারুক খোঁকনের নেতৃত্বে অনেকটাই শক্তিশালী বর্তমান জেলা বিএনপি। তবে, বিএনপির আন্দোলন আওয়ামীলীগের কৌশলে অনেকটাই পরাজিত বরন করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপির আনদোলন নারায়নগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাবতো পড়েইনি উল্টো বিএনপিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উন্নয়নের পথে একধাপ এগিয়ে গেছে আওয়ামীলীগ। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে আসছিল মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। লাগাতার অবরোধ এবং হরতালসহ চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে নাশকতার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতে কেন্দ্রে হামলারও পরিকল্পনা করেছিল তারা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা একজনকে আটক করে গণধোলাইয়ের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবরোধ এবং হরতাল পালনকালে জেলার বিভিন্নস্থানে নাশকতার অভিযোগ এনে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনী আগ মুহুর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারও করেন। এব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ক্ষমতাসীনদলের কুটনৈতিক তৎপরতায় বিএনপি পরাজিত হয়েছে। বিএনপি বিভিন্ন দাবি ধাওয়া নিয়ে যে আন্দোলন করেছে তা সফলতা পায়নি বিএনপির ভিতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা সরকারীদলের এজেন্টদের কারনে। উল্টো আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পলাতক জীবন পার করছেন। দলের ভিতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা ক্ষমতাসীনদলের এজেন্টদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে, কয়েকজন দালালের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিলেও তা চলমান রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। এদিকে সদস্য, অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ নির্বাচন বর্জনসহ অবৈধ এ সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপি। জনগনের ভোটাধিকার রক্ষা এবং ড্যামি নির্বাচন বর্জনের দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, বিএনপির গালে চপোটগাত ঘরে জনগন স্ফতস্ফুতভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নানা ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলেও নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের প্রতিরোধের মুখে তাদের ছায়াও দেখেনি সাধারন মানুষ। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পূনরায় তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে বলে তিনি দাবি করেন।