সড়ক বন্ধ করে হলি ডে মার্কেট
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম সড়ক দখল করে হলি ডে মার্কেট করে হকার বাসনো হয়েছে। সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার তারা সেখানে বসবে এবং ৯০০ হকার আগামী কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত প্রতিদিন সড়কের দুই পাশে বসবে। যদিও এ নিয়ে ইতমধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় নগরবাসীর মাঝে। গতকাল শুক্রবার জুমআর নামাজের পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মিশনপাড়া মোড় থেকে চাষাড়া পর্যন্ত নবাব সলিমল্লাহ সড়কের এক পাশে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে পুরো সড়কজুড়ে হকার বসেছে। ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাপক ক্রেতার সমাগম ঘটেছে সেখানে। কিন্তু ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারী নগরবাসী। হকার বসাতে ব্যাপক তৎপর দুই কাউন্সিলের মধ্যে একজন হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। তিনি দাবি করেন, মেয়র, এসপি ও ডিসি মিলে নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে হকার বসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মোতাবেক সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি এ সড়ক গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার হলিডে মার্কেট হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিন এটা ফ্রি থাকবে। এখানে ৯০০ হকার বসবে আর হকার্স মার্কেটে ৬০০। তিনি আরও বলেন, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর এর সংসদ সদস্য, মেয়র, এসপি, ডিসি বলেছেন, ডিসিপ্লিন মেনে এখানে বসতে হবে। শুক্রবার ও শনিবার এখানে বসতে পারবে। বাকি দিন রাস্তার দুপাশে শুধু ৯০০ হকার বসবে। কোরবানি ঈদ পর্যন্ত তাদের বসার সময় বর্ধিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত: গত ৩ ফব্রুয়ারি নগরীর প্রধান দুই সমস্যা যানজট ও ফুটপাত হকারমুক্ত রাখার বিষয়ে গোল টৈবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর আসনের সদস্য সদস্য শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান এবং জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মাহমুদুল হক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন)সহ বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার সহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন একমত হয় নগরীতে কাগজ পত্র ছাড়া কোন বাস চলবে না। নগরীর কোথাও ফুটপাতে হকার বসবে না। কিন্তু বৈঠকের পরদিন প্রশাসনের কোন প্রকার তৎপরতা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে স্বেচ্ছায় হকার উঠে যায়। এরপর অবশ্য প্রশাসন নগরীর সবগুলো সড়ক থেকে হকার উঠিয়ে দেয়। মজার বিষয় হলো যেখানে বিনা বাধায় হকার উঠে গেলো, কাদের ইন্দনে আবার সেই হকার বসে পড়লো, এমন প্রশ্ন দেখা দেয় সচেতন নগরবাসীর মধ্যে। আবার দুই কাউন্সিলরকে দেখা গেছে নগরীর ফুটপাতে রাস্তা মাপামাপি করতে। কিভাবে হকারদের বসানো যায়। যাই হোক আপাতত দুই কাউন্সিলরের নানা লম্ফ ঝম্ফ এর পর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে হলি ডে মার্কেট বানিয়ে হকার বসেছে। এখন দেখার বিষয় বিষয়টিকে সচেতন নগরবাসী কিভাবে নেয়। এদিকে নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের এক পাশ বন্ধ করে এবং সড়কের দুইপাশের ফুটপাতে হকার বসায় নানবিদ র্দুভোগে পড়েছে নগরীর উত্তর-পূর্ব এলাকার হাজার হাজার মানুষ। তাদের মতে, হলি ডে মার্কেট করার মতো শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ছিল। তাই বলে সড়ক বন্ধ করে হকার বসাতে হবে? এটা কেমন পরিকল্পনা।