আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৩১

রাজনৈতিক সংকটে বিএনপি-জাপা

ডান্ডিবার্তা | ১৭ মার্চ, ২০২৪ | ৩:৫২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি। দেশের দু’টি বিরোধী দলই এখন ক্ষয়িষ্ণু অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, এ দু’টি রাজনৈতিক দলেরই যেকোন সময় মৃত্যু হতে পারে। তবে কার আগে মৃত্যু হবে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গবেষণা হতেই পারে। দু’টি দলই এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, দু’টি দলের মধ্যেই এখন বিভক্তি। দু’টি দলই কোন্দলে কোন্দলে জর্জরিত। জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং তারা মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনে আরও দুইটি আসন লাভ করে। এটি নিয়ে বিরোধী দলে থাকার যোগ্যতা তাদের আসলে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের কৃপায় জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ পায়। বিরোধী দল হলেও জাতীয় পার্টিতে নির্বাচনের পর পরই বড় ধরনের ভাঙ্গন ধরেছে। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ আলাদা হয়ে গেছে। এরকম একটি বাস্তবতায় জাতীয় পার্টির অবস্থা যে এতই গুরুত্বহীন, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইফতার পার্টিতে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঢাকার পাঁচ তারকা অভিজাত হোটেল শেরাটনে ডাকা এ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেউই যায়নি। কোন গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিকরাও সে ইফতার পার্টিতে যোগ দেয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব কমে যাওয়ার কারণেই কোন রাজনৈতিক দল তাদেরকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অনেকেই মনে করেন। জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদেরও ঐরকম ক্যারিশমেটিক নেতা নন যাকে দেখে সবাই আকৃষ্ট হবে এবং যিনি দলকে উজ্জীবিত করতে পারবেন। বরং তিনি জাতীয় পার্টি নামক দলটিকে টিকিয়ে রাখাটাকে দুরূহ কাজ বলে মনে করেন। জাতীয় পার্টির চেয়েও বাজে অবস্থা এখন অবশ্য বিএনপির। যদিও বিএনপির একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে। জনগণের মধ্যে বিএনপির একটা ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে বিএনপির মৌলিক পার্থক্য হলো এই জায়গাটায় যে, জাতীয় পার্টিকে জনগণ পছন্দ করে না, জনগণের মাঝে তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আর অন্যদিকে বিএনপির অবস্থা ঠিক তার উল্টো। বিএনপির যারা কর্মী-সমর্থক, তারা সবকিছুর পরও বিএনপির প্রতি তাদের সমর্থন এবং সহানুভূতি অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু সমর্থক থাকলে কি হবে, নেতৃত্বের ব্যর্থতা, অধিকাংশ নেতার উদাসীন ভাবের জন্য জাতীয় পার্টির মতো বিএনপিও এখন অস্তিত্বের সংকটে আছে। জাতীয় পার্টি এখন রীতিমতো কোমায় চলে গেছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত ২ মাসে অর্থাৎ ৭ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত সময় জাতীয় পার্টির কর্মকান্ড নেই বললেই চলে। এসময় জাতীয় পার্টি কী ধরনের কাজ করেছেন তা তাদের নেতারাই অনুধাবন করতে পারেন না এবং নেতাদের কাছে এ নিয়ে একধরনের হতাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, একসময় মুসলীম লীগেরও অনেক কর্মী সমর্থক ছিল। বিএনপিকে যারা সমর্থন করে তারা কেউই বিএনপির পক্ষে না, তারা আসলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে টিকে থাকতে না পারে, তাহলে এ সমর্থকরা অন্য কোথাও যাবে। আর একারনেই মনে অনেকে মনে করেন, বিএনপির নেতৃত্বের সঠিক নির্দেশনা এখন জরুরী এবং এটি যদি বিএনপি না দিতে পারে তাহলে বিএনপির অস্তিত্বও কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তবে, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির মধ্যে কার আগে মৃত্যু হবে এ নিয়ে অধিকাংশরাই মনে করেন যে, প্রথমে বা খুব সহসায় মৃত্যু হবে জাতীয় পার্টির এবং এরপর হয়ত বিএনপির মৃত্যু জনগণ দেখবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা