১৪ বছরেও বিচার পায়নি সোহেলের স্বজনরা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ মোঃ সোহেল হত্যাকান্ডের ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজো বিচার কার্য দেখেনি আলোর মুখ। নিহতের স্বজনেরা প্রতিনিয়ত ঘুরছে আাদালতের বারান্দায়।অপরদিকে ঘাতকরা প্রকাশ্যে ঘুরে ফিরছে বলে অভিযোগ নিহত সোহেলের স্বজনদের। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সোহেল হত্যা মামলা স্বাক্ষিদের নানা ভাবে ভয় ভিতি দেখানোসহ মামলার ঘটনায় স্বাক্ষি না দিতেও হুমকী দিচ্ছে। এমনকি আদলত চত্বর থেকে এই মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ও একই ঘটনায় আহত জসীম কে অপহরন করার চেস্টা করেছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। এতে সাধারন ডায়েরী ও করেন জসীম। সূত্র মতে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রয়াত সাবেক সাংসদ সাহারা বেগম কবরীর আর্শীবদপুস্ট বাহিনীর সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, জনি, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ডাকাত খেলাফত, আবুল,বিসিক আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল সহ প্রায় ৩০/৩৫জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শেখ মো. সোহেল কে ২০১০ সালের ১৯ মার্চ শুক্রবার দুপুরে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এ সময় ঘাতকচক্র নিহত সোহেলর সহোযোগি জসিম কে কুপিয়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত দেহ ম্যানহোলে ফেলে যায়। নিহত সোহেল কবরীর ক্যাডারদের এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বলেই তাকে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়। এই হত্যাকান্ডের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান নিহত সোহেলের জানাযা নামাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রকাশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, হত্যাকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সোহেল হত্যাকান্ডের ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার স্বজনরা। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের ১৪ বছর পূর্তিতে আজ মঙ্গলবার নিহতদের স্বজন ও শুভাকাংক্ষিরা ফতুল্লার তক্কার মাঠ স্টেডিয়াম চৌরাস্তায় এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করেছে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমতআলী, জসিম,পিন্টু, তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও সোহেলের ছোট ভাই জুয়েল সহ নিহতের স্বজনেরা।