
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিএনএম-এ যোগ দেয়ার খবর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মেজর হাফিজ উদ্দিন। তিনি বিষয়টিকে মিথ্যা দাবি করে বলেছেন, এই ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। এখানে নানা ধরনের কলাকৌশল করা হয়। যে দলই ক্ষমতায় থাকে তারা প্রতিপক্ষকে নানাভাবে নির্যাতন করে। সেখান থেকে কিছু লোক বাগিয়ে এনে নিজের দলে কিংবা অন্যদলে সন্নিবেশ করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। তবে সাকিব আল হাসান যে তার কাছে গিয়েছেন সেটি তিনি অস্বীকার করেননি। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না। একই সঙ্গে পার্টির সরকারের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। তবে এই দুই বক্তব্যের বাইরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সাকিব আল হাসান বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু তাকে বিএনপিতে নেওয়া হয়নি। নিপুণ রায় বলেন, সাকিব আল হাসানের বিএনএমে যোগ দেওয়ার ইস্যুটি পরিষ্কার করেছেন মেজর (অব.) হাফিজ। বিএনএমের যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাকে নিয়ে সাকিব আল হাসান গিয়েছিলেন মেজর হাফিজের কাছে। তাছাড়া অনেকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটিও নাকচ করে দিয়েছেন মেজর হাফিজ। এরকম বাস্তবতায় ত্রিমূখী বক্তব্যে অনেকের প্রশ্ন কে আসলে সত্য বলছে? আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি? এই প্রশ্নটি এখন সামনে এসেছে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মেজর হাফিজ শেষ পর্যন্ত ফেঁসে যাচ্ছেন। মেজর হাফিজ শেষ পর্যন্ত বিএনএম-এ যোগ না দিলেও তিনি যে এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ছিলেন বা চেষ্টা করেছেন সেটা সুস্পষ্ট। কারণ নির্বাচনের আগে আগে তিনি প্রকাশ্যে সংবাদ সন্মেলন করে তারেকের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। শুধু মেজর হাফিজ নয়, নির্বাচনের আগে বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। অনেকে চেষ্টা করছেন। যেমন বিএনপির নেতা শমসের মবিন, তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং এদের মতোই মেজর হাফিজও যে এরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সেটা বলাই বাহুল্য। গণমাধ্যমে আসা স্থির চিত্রই তা প্রমাণ করে বলে মনে করছেন অনেকে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯