রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন তারা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মধ্যে বেশ কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতাও রয়েছেন। যারা ইতিমধ্যে নিজেদের বিএনপিতে সুবিধাবাদী নেতা হিসেবে জানান দিয়েছন। গত বছর বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে ধীরে ধীরে জোড়ালো আন্দোলনের দিকে অতিক্রম করে হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি দিয়েছিল। তবে সে আন্দোলন নারায়ণগঞ্জে ফলপ্রসূ হয়নি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বেশ কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতাদের জন্য কেননা, ঠান্ডা কর্মসূচিতে তারা গর্জন দেখালোও হরতাল অবরোধের মত উত্তাল আন্দোলনে নিজেদের লেজ গুটিয়ে নেন। তারপর থেকে আজ অবধি বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে তার মুখ আর রাজপথ দর্শন করেনি। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর বিএনপি বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপির ঠান্ডা কর্মসূচিগুলোতে বিশাল শোডাউন এবং হুঙ্কার দিয়ে নানা রকম বক্তব্য দিয়ে রাজপথে কম্পন সৃষ্টি করলেও বিএনপির লাগাতার হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতেগুলো অতিক্রম হয়ে লিফলেট বিতরণ তথা ইফতারের মত কর্মসূচিতেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। তারা একপ্রকার বিএনপি থেকে অদূরে চলে গিয়েছেন। জেলা ও মহানগরের এ সকল নেতারা হলেন আড়াইহাজার আসনের সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগকারী নেতা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউছার আশা। সূত্র বলছে, আড়াইহাজার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় নির্বাচন আসলেই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়। তবে কঠোর আন্দোলনে সংগ্রামে বয়সের ভারে নিজে সক্রিয় না থাকলেও সমর্থকদেরও রাজপথে নামাননি। কারণ বিএনপির ঠান্ডা আন্দোলনে শোডাউন করে আলোচনায় এসে বিএনপির কঠোর আন্দোলনের দিকে অতিবাহিত হওয়ার সময় থেকে রাজপথের আন্দোলন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আজ অবদি তিনি আর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগকারী নেতা আব্দুস সবুর খান সেন্টু বিদ্রোহী করে মহানগর বিএনপির মূল নেতৃত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাপকভাবে কর্মসূচি পালন করে উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়ে তর্জন গর্জন দেখালেও তাকে হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি তথা বর্তমান চলমান কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায় না। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক থাকাবস্থায় দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় থেকে কর্মসূচি পালন করলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক থেকে ডিমোশন নিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে অদিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নিজেকে বিএনপি রাজনীতিতে আড়াল করে রাখেন। জেলা বিএনপির নেতা হয়ে কখনো মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে তার দেখা মিলত অথবা মিছিলের শেষ দিকে অনেকটা লুকিয়ে থাকতেন। তবে হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে নিজেকে সক্রিয় না রাখলেও তথাকথিত সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন গণমাধ্যমে টকশোতে সরকার দলীয়দের বিভিন্ন সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করতেন। তবে বর্তমানেও তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক থেকে ভারমুক্ত হয়েই দেশ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে গুটিকয়েক নেতা নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে আর রাজপথে দেখা যায়নি। এখনো রয়েছেন নিষ্ক্রিয়। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর বিএনপির রাজনীতিতে বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিএনপির রাজনীতি করলেও শুধু মামলা মোকাদ্দামায় কোর্টের বারান্দা পর্যন্তই তাকে দেখা যায় রাজপথের আন্দোলনে দেখা যায় না। এছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও সোনারগাঁ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হোন। কিন্তু বিএনপির দুঃসময়ে তাকে রাজপথে দেখা যায় না। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল থানা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরানো হলেও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন মাহমুদের সাথে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। তবে হরতাল অবরোদের কর্মসূচির পর থেকেই রাজপথ থেকে বিদায় নেন তাকে আর পূণরায় চলমান কর্মসূচিতেও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী ভূমিকায় থেকে দলীয় কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির ব্যানারে সক্রিয় দেখা গেলেও হরতাল অবরোধের কর্মসূচি থেকে রাজপথ থেকে নিষ্ক্রিয় হোন। এখনো পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয় হননি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউছার আশা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের দায়িত্ব হারিয়েই রাজপথ থেকে সুযোগে গা ডাকা দেন। তবে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী ভূমিকায় থেকে গর্জন দেখালেও দলীয় কঠোর কর্মসূচি থেকেই তিনি রাজপথে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন এখনো তিনি রাজপথে সক্রিয় হতে পারেননি।