পিলকুনিতে ত্রিরতেœর মাদক-জুয়া জমজমাট
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা তক্কার মাঠ-পিলকুনি এলাকায় ত্রিরতœ হিসেবে পরিচিত সাইফুল, মাইছ্যা আলম এবং শামীম অরুফে মাতাল শামীমে মাদক-জুয়ার আসর জমে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনজনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক কিশোর মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর পরিচালনা করছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মাদক বিক্রি এবং জুয়ার আসর জমে ওঠে। ফলে স্থানীয় যুব সমাজ সহজেই মাদক এবং জুয়ায় আসক্ত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানায়, দাপা আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে মাদ্রাসা সংলগ্ন সাফা ষ্টোর নামে দোকানের পেছনে বিকাল থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর শুরু মাদক বিক্রি, সেবন। পাশাপাশি রাতভর চলে জুয়ার আসর। সাইফুল, মাইছ্যা আলম এবং মাতাল শামীমের শেল্টারে অর্ধশতাধিক কিশোর অপরাধী আশেপাশে অবস্থান নিয়ে এসব অপকর্ম করে থাকো। সাইফুলের নামে এরআগেও মাদক বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েকশ বোতল ফেন্সিডিলসহ সাইফুলকে নিজবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। সাইফুল টিসিবির ব্যবসার আড়ালে মাদক এবং জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পরেছে। নন্দলালপুর মোল্লাবাড়ির প্রভাবশালীদের স্বজন পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলেনা। মাইছ্যা আলমের নামে মাদক ব্যবসা, কিশোর অপরাধী লালন এবং ব্লাকমেই লিংয়ের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। ধূর্ত প্রকৃতির আলম নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বরাবরই থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই বাহিনীর অপর হোতা তক্কারমাঠ এলাকার ত্রাস শামীম অরুফে মাতাল শামীম অন্যতম। শামীমদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। প্রায় সময়ই শামীম কিশোর অপরাধীদের নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে। ফলে এলাকার বাসিন্দারা ভয়েও তাঁদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস করে। ফলে প্রকাশ্যেই চলে শামীম বাহিনীর মাদক, জুয়াসহ নানা অপকর্ম। ত্রিরতেœর অপকর্ম বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকার সচেতন মহল।