আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৫

অযোগ্যদের কব্জায় ফতুল্লা বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ২৫ মার্চ, ২০২৪ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক বারী ভুঁইয়া। গত বছরের ২৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে মিছিলে চোখে গুলির আঘাতের পর শহিদুল ইসলাম টিটু রাজনীতি থেকে ছিলেন দুরে। তারও আগে থেকেই রাজপথের আন্দোলন থেকে আত্মগোপনে চলে যান বারী ভুঁইয়া। ফলে অভিভাবকহীন ফতুল্লা থানা বিএনপি গত নির্বাচনের পূর্বের আন্দোলন সংগ্রামে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটির শীর্ষ নেতাদের খুজেও পাওয়া যায়নি। মুলত জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দীন তার তল্পিবাহকদের হাতে পকেট কমিটির মাধ্যমে অযোগ্যদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দূর্বল করে তুলেছেন। বারী এই কমিটির পূর্বে গত ১৫টি বছরেও নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বাহিরের রাজনীতিতে ছিলেন না। গিয়াসউদ্দীন দায়িত্ব পাওয়ার পর কোর্টের বাহিরের রাজনীতিতে সরব হোন তিনি। তার পূর্বপুরুষদের ঠিকানাও নারায়ণগঞ্জের নয়। পকেট কমিটিতে তাকে সদস্য সচিব করার পর থেকেই ফতুল্লা থানা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হতে থাকে। যে কারনে টিটু ও বারী ভুঁইয়া কমিটির ব্যর্থতার দূরণ বাতিল করে সাংগঠনিক নেতাদের হাতে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেখতে চায় নতুন কমিটি। সূত্রে জানাগেছে, গত ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী শহিদুল ইসলাম টিটুকে আহ্বায়ক ও বারী ভুঁইয়াকে সদস্য সচিব করে ফতুল্লা থানা বিএনপির পকেট কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। রাজপথের নেতাদের বাদ দিয়ে মাইনাস করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে মুলত গিয়াসের চাটুকারদের হাতে কমিটি তুলে দেন তিনি। এর আগের বছর ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারী জাহিদ হাসান রোজেলকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলাম টিটুকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেয় তৎকালীন জেলা বিএনপি। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন টিটু। যা নিয়ে তখন বেশ সমালোচনাও ছিলো। এদিকে গত বছরের ১৬ জনু টিটুকে সভাপতি ও বারী ভুঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। কোনো ধরণের আনুষ্ঠাানিকতা ছাড়াই গিয়াস তার অনুসারীদের দিয়ে পকেট কমিটির অনুমোদন করে দেন। কমিটি গঠন পর্যন্তই ছিলো এই কমিটির শীর্ষ নেতাদের সরবতা। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে বারী আত্মগোপনে চলে যান। তবে জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, নাদিম হাসান মিঠু, রুহুল আমিন সিকদারদের আন্দোলন সংগ্রামে কঠোর ভুমিকা রাখতে দেখা যায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা