বাংলাদেশ এখন ভারতের হাতে জিম্মি: সাখাওয়াত
ডান্ডিবার্তা রিপোপর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আপনারা জানেন আজকে ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ। বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাসে এটি একটি অন্তত কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী নির্বিচারে আমাদের নিরহ বাঙালির উপরে গুলি বর্ষন করে অসহ্য বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এরপরে তালুকদার বেতার কেন্দ্র থেকে আমাদের দলীয় প্রধান তৎকালীন মেজর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে আশা ভরসা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এ দেশ স্বাধীন করেছিল কিন্তু শেখ মুজিবর এর কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে সে স্বাধীনতার যে অঙ্গীকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সেই গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত। আজকে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই মানুষ ভোট দিতে পারেনা। আজকে বাংলাদেশ ওই পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেলেও অথচ আজকে স্বাধীন বাংলাদেশ ভারতের হাতে জিম্মি। বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৪, ১৫ ও ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। গতকাল সোমবার বাদ আছর শহরের মন্ডলপাড়ায় ১৪, ১৫ ও ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আজকে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র চায় না। আজকে তারা জোর করে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তার কারণে আজকে বাংলাদেশের মানুষ এই ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। একটি কারণ তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শত্রুতা পরিণত হয়েছে। আজকে ভারত নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করলেও তারা বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সারাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা আইন-শৃঙ্খলা ও বিচারবিভাগকে কলুষিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারই কারণে কিন্তু আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আজকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেই আমাদের দেশীয় পণ্য চলবে অথচ আজকে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা ভারতীয় পণ্য এদেশে চালে তার জন্য তারা আজকে বিএনপির উপরে দোষ চাপাতে চায়। এতে বুঝা যায় তারা বাংলাদেশের ভালো চায় না তারা ভারতের দালাল। তারা ভারতের সম্রাজ্যবাদী দালাল হিসাবে এদেশের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। আগামীতে যে আন্দোলন সংগ্রাম আসবে সে আন্দোলন সংগ্রাম হবে ভারতের এই সাম্রাজ্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি আগামী তো করবো না ইনশাআল্লাহ আর উপজেলা নির্বাচনে আমাদের কোন প্রার্থী নেই। আমাদের নেতা কর্মীদেরকে আহ্বান জানাবো উপজেলা নির্বাচনে কেউ অংশ নিবেন না। এবং কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না ভোট দিবেন না। ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, রাশিদা জামাল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, নাজমুল হক, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, লিংকন খান, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈম, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আরিফ, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, মহানগর যুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজলসহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
