বন্দরে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে চোরাই মালামাল বিক্রির সিন্ডিকেট
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে ভাঙ্গারী ব্যবসার অন্তরালে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী অপরাধ চক্র ও চোরাই মালামাল বেচাকেনার নেটওয়ার্র্ক। ভাঙ্গারী ব্যবসা পরিচালনায় বা মালামাল কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা লালন-পালন করছে মাদকাসক্ত ছিচকে চোর। প্রশাসন এদের ক্ষেত্রে রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এধরনের অসাধু ব্যাপসায়ীরা দিনকে দিন হয়ে উঠছে বেপোরোয়া। অসাধু ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কারনে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ছিচকে চোরদের সংখ্যা। এসকল ছিচকে চোরেরা হচ্ছে মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা সংগ্রহে তারা বিভিন্ন স্থান ও বাসাবাড়ি থেকে চুরি করে তা ভাঙ্গারী দোকানগুলোতে নিয়ে গিয়ে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করছে। এসকল চোরদের আবার অগ্রিম টাকা ও দিয়ে থাকে ভাঙ্গারী দোকানীরা বলে জানাযায়। স্থানীয় প্রশাসনে নাকের ডগায় এসকল চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অপকর্ম প্রকাশ্যে চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নীরব ভূমিকা নিয়ে এলাকার জনমনে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে। এছাড়া বন্দর রেললাইন ছালেহনগড় রুপালী সাহিমসজিদ খালপার কলোনী রাজবাড়ি আমিন রেলী একরামপুর নবীগঞ্জ তিনগাও লক্ষনখোলা ধামগড় মদনপুর মুছাপুর কলাগাছিয়া ঘারমোরা এনায়েতনগড় সোনাকান্দা মামুদনগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ভাঙ্গারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গারী দোকানী ও সিন্ডিকেট সদস্যরা নাম মাত্র অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় মাদকসেবী, বখাটে যুবক ও ছিচকে চোরদের কাজে লাগিয়ে এবং তাদের ব্যবহার করে বিভিন্ন বাসা বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন প্রকার লোহার মালামাল, টিন, ষ্টিল, তামা, পেপার, বই, এল্যুমিনিয়াম, পল্লাস্টিক ও টায়ার,নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারী জাতীয় দ্রব্য চুরি করিয়ে তা কম দামে ক্রয় করে বিশাল মজুদ গড়ে তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল-কারখানায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ পেশায় বন্দরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি ভাঙ্গারী মালামাল ভাঙ্গার কারখানা। এদের মূলত সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভাঙারি ব্যবসায়ীরা তাদের নিযুক্ত ফড়িয়া-হকার ছিচকে চোর কিংবা খুচরা ক্রেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে রাতের অন্ধকারে টিউবওয়েলের মাথা, লোহার পাইপ, গাড়ীর যন্ত্রাংশ, নতুন-পুরাতন রড, সরকারী-বেসরকারী দপ্তর কিংবা আবাসিক এলাকায় পরিত্যাক্ত পড়ে থাকা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এসে ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে রাতভর। এ ব্যাপারে বন্দর থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানায়, এদের প্রতি নজরদারী করা হচ্ছে অতি দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।