কুতুবপুরের কথিত ছাত্রলীগ নেতারা বেপরোয়া
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লার কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের অন্যতম সহযোগী সন্ত্রাসী বাবুর কোমড়ের পিছনে অস্ত্র নিয়ে ঢাকা ম্যাচ আওয়ামীলীগ কার্য্যালয়ে হামলার ঘটনার নেতৃত্ব দেয়া একটি ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় সন্ত্রাসী বাবু’র কোমড়ে একটি বিদেশী পিস্তল এবং সম্প্রতি সন্ত্রাসী বাবু’র নেতৃত্বেই ঢাকা ম্যাচ আওয়ামীলীগের কার্য্যালয়ে হামলা করা হয়। ইতিমধ্যে অস্ত্রসহ হামলার নেতৃত্ব দেয়া সন্ত্রাসী বাবু’র পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। সে ঢাকা ম্যাচ এলাকার মৃত- মতিনের ছেলে। এদিকে, কুতুবপুরে সন্ত্রাসী বাবু’র কোমড়ে পিস্তলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সাধারন মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং অবিলম্বে কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমরান এবং তার অন্যতম সহযোগী বাবু’কে আইনের আওতায় নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছে। সূত্রমতে, ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকা ফতুল্লার রসূলবাগ এলাকা। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ বর্ডার অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার পর এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সহজেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অপরাধীরা। সম্প্রতি, ঢাকা ম্যাচ এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের কার্য্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার কুতুবপুরের কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের অন্যতম সহযোগী বাবুর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। আওয়ামীলীগ কার্য্যালয়ে হামলার মাধ্যমে ব্যাপক তান্ডব চালানোসহ প্রতিপক্ষের কাছে নিজের শক্তির জাগান দেয় সন্ত্রাসী বাবু। এসময় সন্ত্রাসী বাবু প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি বর্ষন করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। প্রায় আধাঘন্টা তান্ডব লীলা চালিয়ে তার দলবল নিয়ে ফতুল্লার কুতুবপুর রসুলবাগ এলাকায় বাবু’র শেল্টারদাতা কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের ছায়ায় আশ্রয় নেন। এদিকে, ঢাকা ম্যাচ আওয়ামীলীগের কার্য্যালয়ে হামলার প্রাকাল্যে কোমড়ে বিদেশী পিস্তলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অবৈধভাবে থাকা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমরান এবং তার সহাযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুতুবপুরবাসী। কুতুবপুরের সাধারন মানুষ দাবি করেন, সন্ত্রাসী বাবু এবং ইমরানের কাছে একাধিক অবৈধ অস্ত্র থাকতে পারে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব। ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) নূরে আযম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। যেহেতু সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি, দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।