বন্দর আ’লীগের বিরোধে হতাশ তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দর থানা আওয়ামীলীগ জটিল সময় পার করছে। রাজাকার ইস্যু নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামীলীগ নেতারা। এতে করে তৃনমূল কর্মীরা হতাশ। উপজেলা নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের পক্ষে বেশ কয়েক জন আওয়ামীলীগ নেতা অবস্থান নেয়ায় এ বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর এনিয়ে চলছে কাঁদা ছুড়াছুড়ি। চলছে বিক্ষোভ মিছিল ও স্যোসাল মিডিয়ায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। রাজাকর পুত্র মাকসুদের পক্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, যাকে আমরা রাজাকার পরিবারের সদস্য বলছি তিনি নিজে আওয়ামীলীগের আদর্শ বুকে লালন করে জাতীয়পার্টির রাজনীতি করেন। তার পিতার কর্মকান্ড তার উপর যাকে কেন? তিনি আওয়ামীলীগের সাথে থেকে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতি করছেন। এবং কয়েকবার মুছাপুর ইউনিয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি রাজাকর নন। তিনি আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির রাজনীতি করে নিজের অবস্থান তৈরী করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির মিছিল মিটিংয়ে তার শাত শত লোজন নিয়ে যোগদান করেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ নির্বাচন করেছেন তখন এই রাজাকার পুত্রই তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ করেছেন। তখন তিনি কেন রাজাকার পুত্রের সহযোগিতা নিয়েছে তখন দুষ হয়নি। মাকসুদ হোসেন ২ মাস পূর্বে থেকে উপজেলা নির্বাচন করবেন বলে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে আসছেন। তখনও এমএ রশিদ নির্বাচন করার কোন ঘোষনা বা নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনাও করেননি। সরকার এবার যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে কোন দলীয় প্রার্থী দিচ্ছেন না। নির্বাচনকে উম্মুক্ত করেছেন তাই আমরা যেকোন লোকের পক্ষে কাজ করতে পারি। হঠাৎ এমএ রশিদ নির্বাচন করবেন আর এই সময় মাকসুদ হোসেন নির্বাচন করবেন এতে করে সে রাজাকার পুত্র হয়ে গেলেন আর তার পক্ষে কাজ করা দুষের হয়ে গেল। শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতারা তার মাধ্যমে মিছিল মিটিংয়ে লোক নিলে দুষের হয়না। এদিকে মদনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমএ সালাম প্রকাশ্যে সমাবেশে বলেন যারা স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানদের পক্ষে যে সকল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী নির্বাচনে সহায়তা করবেন তাদের বহিস্কার করা উচিৎ। এ বক্তব্যের পর আওয়ামীলীগের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। আর দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে দলীয় বিরোধ। আর দুই অঞ্চলের তৃনমূল নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগছেন। এ ব্যপারে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামীলীগের যেই হউক স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের পক্ষে থাকবে তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।