ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, বন্ধ কারখানা অবিলম্বে চালু, রি-রোলিং কারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট এর উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও লালপতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সহসভাপতি জামাল হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক এম এ মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কাদির, পাগলা শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, শ্যামপুর শাখার সংগঠক দাউদ আলী মামুন, শারমিন স্টিল মিলস শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস জুয়েল প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, রি-রোলিং কারখানায় কোন শ্রম আইন মানা হয়না। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র দেয়া হয় না। যখন তখন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করে দেয়। কথায় কথায় চলে শ্রমিক ছাঁটাই নির্যাতন। নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র না থাকায় তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারে না। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রি-রোলিং এর কাজ। একটু এদিক সেদিক হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। জ¦লন্ত রড এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় শ্রমিকের শরীর। সেখানে মালিকরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে না। শ্রমিকরা গামছা পেঁচিয়ে কাজ করে। শ্রমিক আহত-নিহত হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঈদ আসলে বেতন বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি হয়। রি-রোলিং কারখানাগুলোতে মালিক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র দেয় না। ফলে সেখানে কোন শ্রম আইন চলে না। এ সুযোগে মালিকরা শ্রমিকদের বোনাস থেকে বঞ্চিত করে। আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় যেমন খুশি তেমন বোনাস দেয়া হয়। এমনকি অনেক কারখানায় বোনাসও দেয়া হয় না। শ্রমিকরা বোনাসের কথা বললে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। তাকে চাকরি পর্যন্ত হারাতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশের চাকা ঘুরে তাদের ঠিকমতো বোনাস দেয়া হয় না। শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। বেতন বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তারজন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে। নেতৃবৃন্দ নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র প্রদান, অবিলম্বে বন্ধ কারখানাগুলো চালু করা, রি-রোলিং খাতে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, ঈদের আগে শ্রমিকের বোনাসসহ সকল পাওনাদি পরিশোধের দাবি করেন।