আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫৯

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পাশেই তারেক বাহিনীর চাঁদাবাজি

ডান্ডিবার্তা | ৩০ মার্চ, ২০২৪ | ১২:১৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগায়ের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পূর্ব পাশে ঢাকা-চট্রগ্রাম মাহাসড়কের সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে দিবালোকে জোড়পূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে নূর আলম খানের অন্যতম সহযোগী তারেক বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই বাহিনীটি স্থানীয় পেশী শক্তির শেল্টারে প্রতিদিন মহাসড়কে চলাচলরত সিএনজি, ইজিবাইক, পিকআপসহ প্রাইভেট কার থেকে জোড় পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এই বাহিনীকে চাঁদা না দিয়ে কোন গাড়ীই চলাচল করতে পারে না বলে চালক ও শ্রমিকদের অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে ঘুরে পরিবহ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পূর্ব পাশে সাগর ফিলিং স্টেশন এর সামনে থেকে প্রতিদিন তারেক বাহিনীর অন্যতম মূলহোতা তারেক ওরফে কাইল্লা, ছাত্রলীগ নেতা নাছির, ও ইসমাইল সহ ৮/১০ জনের একটি বাহিনী প্রতিটি সিএনজি গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা, ইজিবাইক প্রতি ৫০ টাকা, পিক-আপ ১০০ টাকা, যাত্রীবাহি প্রাইভেট কার থেকে ২০০ টাকা করে জোড় পূর্বক চাঁদা আদায় করে থাকে। কোন চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধর এবং গাড়ী ভাঙচুর করে থাকে। পরিবহন শ্রমিকদের তথ্যমতে জানা যায়, প্রতি মাসে প্রায় ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৫’শ টাকা চাঁদা আদায় করে ওই তাারেক বাহিনী। ওই চাঁদা থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকে ওই বাহিনীর শেল্টার দাতা। অপরদিকে তারই একটি অংশ পায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক। তাকে ম্যানেজ করেই কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সামনে চাঁদাবাজি করে থাকে ওই তারেক বাহীনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিএনজি চালক বলেন, এই স্ট্যানে যদি যাত্রী তোলার জন্য গাড়ি রাখি তা হলে তারেক বাহিনী জোড় করে চাঁদা নিয়ে যায়। আমরা যদি চাঁদা না দেই তা হলে আমাদের গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে, গাড়ির কাগজ-পত্র নিয়ে আটকে রাখে। আমরা কোন উপায় না পেয়ে তারেককে চাঁদা দিতে হয়। অপর এক চালক জানান, চাঁদা না দিলে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকে এবং তারা মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে থাকে। তাদের ওই ষ্টানে সিএনজি গাড়ি ভর্তি করার জন্য মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। ওই ষ্টানে প্রায় ২০০/৩০০ সিএনজি আছে। প্রতিটি গাড়ি থেকে তারা জোড় করে চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে সিএনজি চালকদেরকে বেধম মারধরের অভিযোগ আছে এই তারেক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই বাহিনীর সকল সদস্য এতোটা পাষন্ড যে টাকার জন্য তারা সব কিছুই করতে পারে। আলমগীর নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, আমরা গরিব মানুষ পেটের দায়ে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালিয়ে থাকি। এমনিতে হাইওয়ে পুলিশ মামলা এবং রেকার করে থাকে। তার উপরে আবার তারেক বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। তারেক বাহিনীকে চাঁদা না দিলে তারা এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে দেয় না। তারেক বাহিনীর অত্যাচারে আমরা নিরুপায় হয়ে চাঁদা দিয়ে থাকি। পিক-আপ চালক হোসেন বলেন, আমার গাড়ির সকল কাগজ পত্র ঠিক আছে, তার পরেও নূর আলম খানের তারেক বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। এ বিষয়ে নূর আলম খানের অন্যতম সহযোগী চাঁদাবাজীর মূলহোতা তারেক জানান, আমি এই এলাকার স্থানীয় পোলা। আমরা বড় ভাইয়ের লোক। তার নির্দেশে আমরা ওই স্টানে চাঁদা আদায় করি। ওই স্টান থেকে চাঁদার একটি অংশ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হককে, সোনারগাঁ থানার ওসিকে ও ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, থানার পাশে সিএনজি স্টান্ডের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। কেই যদি স্টান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা