হকারদের নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না: সেলিম ওসমান
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহরে হকারদের নৈরাজ্য থেকে নারায়ণগঞ্জাবাসী অতিষ্ট। আর সমস্য থেকে পরিত্রানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতেও হকাররা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনরায় বঙ্গবন্ধু সড়ক দখরের প্রতিযোগিতায় নামে। এ বিষয়ে নিয়ে সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেন, হকারদের নৈরাজ্য বরদাস করা হবে না। হকারদের একটা দোষ হল তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে নিজেদের নাম দেয় হকার লীগ এবং হকার সংগ্রাম কমিটি। এই ধরনের সংগঠনের নাম দিয়ে তারা গার্মেন্টসের নেতাকর্মীদের দিয়ে সমাবেশ করে ও আজেবাজে কথা বলে। গতকাল শনিবার দুপুরে বিকেএমইএ ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, আমার কাছে হকাররা দাবি করেছিল যে, তারা আজ থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত হলিডে মার্কেটটা টানা চলবে। মানবতার দিক থেকে চিন্তা করেই আমরা হকারদের হলিডে মার্কেট করতে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা ছিল ফুটপাতে কোন হকার বসবে না। আমরা সবাই জেলা প্রশাসন, মেয়রসহ আমরা সবাই বসে একটি বৈঠক করলাম। আমাদের কাছে দুই হাজার হকারের তালিকা পেলাম, সেখান থেকে ৫০০ জন হকার নারায়ণগঞ্জের ছিল। আমরা চেষ্টা করছিলাম হকারদের একটা বাজার করা যায় কিনা। সেলিম ওসমান বলেন, মানুষ এখন কষ্ট করে চলছে। যারা গত ঈদের চারটা মুরগি কিনতো, তার এখন একটা মুরগি কিনছে। তবুও মানুষ এই সরকারকে সমর্থন করে চলছে। আমাদের যেহেতু বড় একটি গ্যাসের সংকট ছিল। সংকটটা কেটে গেলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। আর রপ্তানি হলে আমাদের আয় বাড়বে, আয় বাড়লেই আমরা একটা ভালো পরিস্থিতিতে চলে আসবো। আগামী এক বছরের মধ্যে সারা বিশ্বের কাছে আমরা একটা ভালো স্থানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। শুধু বাংলাদেশের যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এমনটা নয় সারা বিশ্বে এই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আগে যে ইনজেকশন কিনতাম ১০ হাজার বাত সে ইনজেকশন এখন আমার কিনতে লাগে ২৫ হাজার বাত। আমি ভয়ের কারণে সে ইনজেকশন নিতে পারছি না। আমি চিকিৎসায় এত খরচ করে কিভাবে। আমার এ চিকিৎসা টাকা দিয়ে তো আরেকজন বেঁচে যেতে পারে। আমাদের সবার জন্য একই অসুবিধা। আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, যদিও এটা প্রশাসনের জন্য একটা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যায়। তবুও আমি জেলা প্রশাসনকে রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে যে, এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত হকারদের হলিডে মার্কেট প্রতিদিন বসবে। এটা এখন হলিডে মার্কেট নয়, ঈদ মার্কেট ঘোষণা দেওয়া হল। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, শুধু ঈদ নয় সামনে আরও একটি দিন রয়েছে পহেলা বৈশাখ। সে পহেলা বৈশাখ আমরা দেখব যে কিছু করা যায় কি না। তবে যেহেতু আমরা এত বড় একটি ঘোষণা দিচ্ছি আমরা হকারের কাছে অনুরোধ থাকবে কোন অবস্থায় অন্য কোন সড়কে বসা যাবে না। বিভিন্ন সময় দেখেছি যখন হলিডে মার্কেট থাকে তখন সব হকার একসাথে এই সলিমুল্লাহ সড়কে থাকে। যখন হলিডে মার্কেট তাকে না তখন তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। একজনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হতে পারে না। এই জেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বসবাস করছে। তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত হকাররা বসবে। নিশ্চিন্ত হলিডে মার্কেটে তারা বেচাকেনা করতে পারবে। তবে হলিডে মার্কেট চলাকালীন সময় হকাররা যদি অন্য কোন সড়কে বসে তাহলে আমি আশা করছি সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে। মানবতার দিক থেকে চিন্তা করেই আমরা হকারদের হলিডে মার্কেট করতে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা ছিল ফুটপাতে কোন হকার বসবে না। আমরা সবাই জেলা প্রশাসন, মেয়রসহ আমরা সবাই বসে একটি বৈঠক করলাম। আমাদের কাছে দুই হাজার হকারের তালিকা পেলাম, সেখান থেকে ৫০০ জন হকার নারায়ণগঞ্জের ছিল। আমরা চেষ্টা করছিলাম হকারদের একটা বাজার করা যায় কিনা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শওকত হাসেম শকু ও ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ আরও অনেকে।