আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৩

ফুটপাত থেকে টাকাও নিচ্ছে মাথাও ফাটাচ্ছে পুলিশ!

ডান্ডিবার্তা | ০১ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নগরীতে ফুটপাতে হকারের দোকান বসা না বসা নিয়ে রমজানের স্থানীয় সাংসদ, মেয়র মহোদয়সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা মতবিনিময় সভা করেছেন। সেই সভা থেকে শহরকে হকার মুক্ত রাখতে হকার উচ্ছেদের মত সিদ্ধান্তও নেন তারা। তবে তাদেরকে পুর্নবাসনের জন্য সাময়িকভাবে নগরীর খানপুর এলাকাতে স্থানান্তরও করা হয়েছে পাশাপাশি সপ্তাহের দুইদিন শুক্র ও শনিবার ছাষাড়া খাজা মার্কেটের সামনে হলিডে’রও ব্যবস্থা করেন তারা। তাতেও কাজে আসছেনা হকারদের কারনে। কারন হকার বরাবরই তাদের নিজ নিজস্থানে বসতে গিয়ে পুলিশের সাথে ইদুর-বিড়াল খেলা মত্ত হয়েছেন। আবার অনেক সময় হকারদের মালামাল আটক করে তা মুচলেকার মাধ্যমেও ছাড়া পাচ্ছে এবং পুলিশ অসহ্য হয়ে হকারদের উপর লাঠি চার্জের পাশাপাশি তাদের মামলামালগুলো রাস্তার উপর ফেলে গিয়ে ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিসাধনও করছে। গতকাল বিকেলেও চাষাড়া এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে এক হকারের মাথাও ফেটে গিয়েছে। পুলিশ-হকারের এতকিছুর পরও সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে ফুটপাত থেকে পুলিশের চাদাঁবাজি। পুলিশের সাথে ইদুর-বিড়াল খেলার পর যেটুকু সময় পাচ্ছেন হকাররা তাদের মালামাল বিক্রির সেই সামান্য বিক্রির অর্থ থেকে পুলিশের জন্য হকারদের কাছ থেকে চাদাঁ তুলছে পুলিশের অনুমোদিত হকাররুপী চাদাঁবাজচক্র। চাষাড়া জিয়া হল থেকে বাগে জান্নাত মসজিদ পর্যন্ত যতগুলো ফলের দোকান রয়েছে তার প্রতিটি দোকান থেকেই একশত টাকা হারে চাদাঁ তুলছেন  মনির হোসেন ওরফে মেম্বার মনির নামে এক দোকানী। ৪৮টি দোকান থেকে প্রতিদিন ৪৮শত টাকা তুলছেন নগরীতে টহলরত পুলিশের জন্য। পুর্বে বাণিজ্যে যেনো  রমরমা। টাকা দিলেই সব সমস্যার সমাধান। কেউ কিছু জানতে চাইলে সাফ সাফ উওর দিয়ে বলেন থানা পুলিশ কে খরচ দিতে হয় নইলে দোকান বসানো যায় না। এদিকে প্রতিদিন দেখা যায় রাস্তায় জানজট। যার মূল কারণ অবৈধ ভাসমান ফলের দোকান। এ সব দোকান রাস্তার এক তৃতীয়াংশই জুড়ে বসে আছে। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন  উচ্ছেদ অভিযান সহ ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করা স্বত্বেও থামছে এই সমস্যা। তবে ফুটপাতের হকারদের দাবী এ যেন “মরার উপর খড়ার ঘা”। রমজানের শুরুতেই আমরা ফুটপাতের সমস্যার কারনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনানিপাত করছি। তারপরও একটু ফাক পেলেই পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেয়ার জন্য আইন ভঙ্গ করেই কাজ করছি। এজন্য পুলিশ কর্তৃক মালামালের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। পরিবারের মুখে খাবার তুলতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে শরীর থেকে রক্তও ঝরছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক হকার বলেন, দু’টো টাকা উপার্জনের জন্য আমরা কষ্ট করছি আর পুলিশ আমাদের কাছ থেকে টাকাও খাবে আবার লাঠির আঘাতে শরীর থেকে রক্তও ঝরাবে এটা কেমন কথা। তাদের ঘরে যেমন স্ত্রী-সন্তান রয়েছে তেমনী আমাদের ঘরেও তো রয়েছে। তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করবে আর আমরা কি আমাদের পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করবো না। পুলিশকে টাকা উত্তোলন করে দেয়া প্রসঙ্গে হকার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন মিনিমাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ওঠে। পুলিশকে দিতে হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা করে এবং সাথে আরো অনেক সাইডেও দিতে হয়। এমন সব তথ্য জানান ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন অপর এক কর্মকর্তা রিসিভ করে বলেন, স্যার একটু ব্যস্ত রয়েছেন আপনি পরে ফোন দিন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা