হাকঢাক নেই সদরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। গত ২১ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা নির্বাচন ৮ মে প্রথম ধাপ, ২৩ মে দ্বিতীয় ধাপ, ২৯ মে তৃতীয় ধাপ ৫ জুন ৫ম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর বিশেষ ১ম ধাপে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সদর-বন্দরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন ঘিরে সারাদেশেই সকল উপজেলার প্রার্থীরাই প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও ৫টি উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নতুন প্রার্থীরাও নিজেদেরকে জানান দিতে বিভিন্ন জায়গাতে লাগিয়েছে নির্বাচনী সালাম পোস্টার। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৮ মে হতে পারে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন। আর তফসিল ঘোষনার পরপরই নির্বাচনের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল ভোট গ্রহন ৮ মে তবে এই ৫ টি উপজেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হলেও দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যাবৎ নির্বাচন বন্ধ বয়েছে এই উপজেলার। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন বন্ধ থাকার কারণে এই সদর উপজেলা থেকে সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আছে এই উপজেলার মানুষ। শুধু তাই নয় এতো বছর যাবৎ দায়িত্বে থাকার পরেও উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির এই উপজেলার মানুষের আশির্বাদ হয়ে আসেনি। তাই আগামী নির্বাচনে তাদের যদি তারা আসে তাহলেও তাদের প্রত্যাখ্যান করবে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। শুধু তাই নয় তফসিল ঘোষনা হতে না হতেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়ে গেছে নানান আলোচনা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম চেয়ারম্যান পদে ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লড়াইয়ে মাঠে নামবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী তারা দুজনই শামীম ওসমানের অতি আস্থাভাজন। তাই তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাবে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, গোলাম সারোয়ার পরিবারে নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিতে রয়েছে তাদের অনেক অবদান বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল ও তার ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পিছিয়ে নেই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আবু মোঃ শরিফুল হক যিনি ফতুল্লা ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীও হওয়ার কথা থাকলেও ফাইজুল ইসলামকে সমর্থন করে বসে যান তবে উপজেলা নির্বাচনেও নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানেও আসতে পারে নতুন কোনো চমক। তবে সদর উপজেলার নির্বাচন নিয়ে অনেকটা আস্তে আস্তে এগোচ্ছে প্রত্যাশীরা। বিশেষ করে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। তারা গ্রিন সিগন্যাল পেলেই নামবেন পুরোপুরি প্রচারনায়। তবে সদর উপজেলাবাসী মনে করছেন দীর্ঘদিনের অবহেলা থেকে মুক্তি চায় তারা চায় এমন কেউ আসুক যারা সদর উপজেলাবাসীর কল্যানে কাজ করুক। তাদের দাবি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা তাদের কাছে আসেনি এমনকি কোন রকম উন্নয়নের ছোঁয়া দেখা যায়নি। তাদের প্রত্যাশা এমন লোক আসুক যারা মানুষের পাশে থাকবে খোজ খবর নিবে। এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাচন যেন আবারো নির্বাচন বন্ধ হয় নেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নারায়ণগগঞ্জ সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। তবে এর আগে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকলেও নির্বাচন হওয়ার পক্ষে রুল জারি হলে নির্বাচন হতে আর কোন বাধা নেই। প্রথম ধাপেই ১৫২ টি উপজেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সদর ও বন্দরে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।