মামলা বেড়াজাল থেকে রেহাই মিলছেনা বিএনপি নেতাকর্মীদের
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন ঠেকাতে দফায় দফায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কঠোর কর্মসূচি দেখা গেলে ও দিন শেষে তা সফলতা পায়নি। তা ছাড়া হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালনের কারণে দেশে লাখো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলার হিড়িক দেখা গেছে। যার ভার নির্বাচনের ৩ মাস পরে ও বইতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। তাছাড়া রাজপথে থাকা নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে বিএনপির মূল বা অঙ্গসংগঠনের কোন কমিটিতে থাকলেই মামলা দিয়ে ছাতু বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো তাদের। এমনকি মহানগরের আওতাধীন থানায় জেলার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় হতে দেখা গেছে আবার মহানগরে থাকা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, রূপগঞ্জসহ আড়াইহাজারে ও মামলা হতে দেখা গেছে। যাকে ঘিরে আত্মগোপনে ছিলেন জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী। আবার অনেককে পুলিশ বা ডিবি পেয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছিলো কারাগারে। ইতিমধ্যে কারাগার থেকে নেতাকর্মী বেশিরভাগ মুক্তি পেলে ও মুক্তি পায়নি আত্মগোপনে থাকা বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। যাদের নামে ইতিমধ্যে ডজন ডজন মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে কেহ কেহ উচ্চ আদালতে আগাম জামিন নিয়েছেন। ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও গোলাম ফারুক খোকনসহ প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন হলে ও ফতুল্লা থানার ২টি মামলা ও রূপগঞ্জ থানার ৬ থেকে ৭টি মামলার আগাম জামিন এখনো হয়নি। নেতাকর্মীরা রূপগঞ্জের মামলার জামিনগুলো পেতে জোরদার ভূমিকা রাখলে ও এখনো মামলাগুলো শেষ হচ্ছে না। তাছাড়া ঈদের পর পরই আসতে পারে বিএনপির কঠোর আন্দোলন। যাকে ঘিরে শীগ্রই মামলাগুলো থেকে জামিন পেতে বিএনপি নেতারা উঠে পড়ে লেগেছে। অপর দিকে ঈদের বাকি আছে মাত্র ৯ দিন সেদিকে ও রয়েছে খেয়াল কারণ দীর্ঘদিন মামলায় আত্মগোপনে থাকায় পরিবারকে সময় দিতে পারেনি বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী। যার কারণে এবারের ঈদে পুলিশের হাতে নাগালে থেকেইে শান্তিপূর্ণভাবে পরিবারের সাথে ঈদ উৎযাপন করতে চায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। অপর দিকে নির্বাচনের পর পর আগাম জামিন পাওয়া মহানগরের আওতাধীন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীও জামিনের সময় শেষ হয়ে আসছে যা নিয়ে হতাশা দেখা যাচ্ছে তারা ও নিয়মিত উচ্চ আদালতের দুয়ারে দুয়ারে সময় পার করছে। দলীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গত ৭ জানুয়ারী বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তিনমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালত বারবার জামিন চেয়েও জামিন মিলছে না তাদের। এর ফলে ঈদের আগে তাদের সকল থানায় দায়েরকৃত মামলায় জামিন পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যে ঈদের পূর্বে ফতুল্লা থানার একটি মামলার ৪০০ নেতাকর্মীরা জামিন হয়েছে। আরো বাকি রয়েছে একাধিক মামলা। তা ছাড়া নির্বাচনে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মেরুদন্ড অনেকটাই কুজো করে ফেলায় কর্মীরা অনেকটাই ঝিমিয়ে পরেন যাকে ঘিরে ছোট ছোট কয়েকটি কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের জানান দেওয়ার চেষ্টা করলেও তেমন চমক সৃষ্টি করতে পারেনি। তাছাড়া নির্বাচনের আগে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও এখনো তারা শক্তভাবে নিজেদের অবস্থান দেখাতে পারছেন না বিএনপি। যার কারণে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অধিকাংশ নেতাকর্মী মামলা, গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তা ছাড়া ও বর্তমানে ধীরে ধীরে জামিন পাওয়া শুরু করেছে নেতাকর্মীরা তা স্বরূপে হয়ে উঠলে আবারো ব্যাপক হারে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে নেতাকর্মীরা। অপর দিকে জানা গেছে, বর্তমানে বেশি মামলায় জুলে আছে, জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদসহ রূপগঞ্জ ও ফতুল্লার একাধিক নেতাকর্মীরা। এদের দ্বারাতেই বিএনপির কর্মসূচিতে চমকের বন্যা দেখা গেলে ও তারা এখন মামলায় রাজনীতি থেকে পিছিয়ে আছেন। শীগ্রই জামিনের মাধ্যমে আবারো প্রকাশ্যে দেখা যাবে বিএনপির এই সকল নেতৃবৃন্দকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাষ্য, প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় এবং প্রধান সারির কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি অনেকটা পঙ্গু হয়ে পরলে ও বর্তমানে মহানগরের নেতাকর্মীরা কারামুক্ত হলে তারা আবারো রাজপথে স্বরূপে ফিরে আসছে। কিন্তু জেলা বিএনপির মূল নেতারা এখনো সব মামলায় আগাম জামিন না পাওয়ায় রাজপথে জৌলুস থেকে পিছিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।