এমপি সেলিম ওসমান বক্তব্যে বন্দর জুড়ে সমালোচনা
বন্দর প্রতিনিধি বন্দরের ধামগড়ে এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্য নিয়ে বন্দরের সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয় ভোটারদের দাবি এম এ রশিদ দুই বার পরাজিত হয়ে পরে নৌকা প্রতীক নিয়ে অবশেষে বিনা ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছেন। সেই রশীদকে আবারো বিনা ভোটে চেয়ারম্যান করতে এমপি সেলিম ওসমান সমর্থন করায় বিতর্কে পিছু ছাড়ছে না বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদের। গত শনিবার বিকালে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরূপ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সহ ও সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নিদের্শ দেন। তার পর গত দুইদিন যাবত বন্দর জুড়ে রশীদ চেয়ারম্যানের পূর্বের বিতর্কিত কাজগুলো সাধারণ জনগনের মূখে মূখে উঠে এসেছে। ভুয়া ওয়ারিশে জমি দখল, গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সরকারি অনুদান বিতরণে স্বজনপ্রীতি, প্রকল্প বরাদ্দে কমিশন বানিজ্য ও সমাজের বিতর্কিত লোকজনকে দলীয় পদপদবি বানিজ্য। এসব কর্মকান্ড নিয়ে বন্দর উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। এমএ রশীদ চেয়ারম্যানের বিতর্কিত কর্মকান্ডের মধ্যে সম্প্রতি বন্দরের ধামগড় ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মালামত গ্রামে সাউদ বাড়ির আবিতুন নেছার দখলীয় প্রায় দুই কোটি টাকার জমি ভুয়া ওয়ারিশ বানিয়ে রশীদ চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোক শাহআলম মেম্বারের মাধম্যে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ওই পরিবার নিরুপায় হয়ে অবশেষে আদালতের সরপর্ণ হন। এ ঘটনায় তিনি এলাকায় সমালোচিত হয়েছেন। ধামগড় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্যাগী প্রবীন নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সফুর উদ্দিনকে আওয়ামীলীগের হাইব্রিড নেতা বানিয়ে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেয় বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অভিযোগ। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দর উপজেলা ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে এমএ রশীদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মদনপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ অবস্থান নিয়েছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ। ধামগড় ইউনিয়নেও একই অভিযোগ। রশীদ চেয়ারম্যানের আস্তাভাজন বটতলা এলাকার শরীফ হোসেনের নিয়ন্ত্রণে ধামগড় ইউপির জাঙ্গাল এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম (ইঝজগ) ফ্যাক্টরী। রশীদ চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সুবিধা বঞ্চিত দলীয় নেতাকর্মীরা। কবরস্থানের গাছ বিক্রির অভিযুক্ত ও মাদকাসক্ত চোরাই মালামাল ব্যবসায়ীদের পদপদবি দেয়ায় নাজুক অবস্থানে রয়েছে এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ। বাদ পড়েছে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী। এছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনীত কাদির ডিলারকে পরাজিত করার এমএ রশীদের বিপক্ষে সমর্থন ছিলো। বন্দর উপজেলা তৃণমূল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী জানান, এমএ রশীদ ভাইয়ের অনেক পদপদবি ও বিতর্কিত গুনিজন ব্যক্তি। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত পর্যন্ত সভাপতি। নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর না রাখলেও বিনা ভোটে আবারো চেয়ারম্যান হতে কৌশল খোঁজতে গিয়ে নানা বিতর্কে ফেলেছেন এমপি সেলিম ওসমানকে। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এবারের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতা মূলক নির্বাচনে ভোট প্রদানের দাবি বন্দর উপজেলাবাসীর। এ বিষয়ে এমএ রশীদ চেয়ারম্যান কাছে জানতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।