উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে জামাত প্রস্তুত
ডান্ডিবার্তা | ০৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:০৭ অপরাহ্ণ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জন প্রশ্নে বিএনপিতে ভিন্নমত আছে। তবে জামাত এবারে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর জামাত নেতারা
নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছেনে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বত্র জামায়াতের নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত পেলেইে তারা মাঠে ঝাপিয়ে পড়বেন। তারা গোপনে নির্বাচনী অনেকটা গুছিয়ে রেখেনে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে দলের কৌশল ঠিক করতে একাধিক বৈঠক হলেও এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। তবে দলটির মিত্র জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির এমন সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারাও দোটানায় আছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে অনেক প্রার্থী যোগাযোগ করলেও চূড়ান্ত কোনো বার্তা কেউ জানাতে পারছেন না। ফলে অনেক নেতা ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত কী সে দিকেও নজর রাখবেন। গত ২৫ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে কৌশল নির্ধারণ নিয়ে বৈঠক হয়। কমিটির সদস্যরা
নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জনের প্রশ্নে মিশ্র অভিমত প্রকাশ করেন। কেউ কেউ দলীয়ভাবে অংশ না নিয়ে কৌশলী অবস্থান নেওয়ার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে দল নির্বাচনে উৎসাহিত করবে না, নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে কঠোর না হওয়ার কথা এসেছে। তবে বেশির ভাগ সদস্য বলেছেন, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, সেখানে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাওয়া বারবার প্রতারিত হওয়া ছাড়া আর কোনো ফল পাওয়া যাবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, দেশে কোনো নির্বাচনই হয় না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচনব্যবস্থাটাই ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। সেখানে উপজেলা নির্বাচনে গিয়ে কী হবে?’ দলের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা আছে, উপজেলায় প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয়
নেতাদের উৎসাহিত করা হবে না। আবার কেউ নির্বাচনে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষেও না জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে। ভোট করতে ইচ্ছুক এমন নেতাদের ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের মাঠে থাকার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে। জনগণের সেই সমর্থনকে সম্মান দিতে হলে দলীয়ভাবে বিএনপির উপজেলানির্বাচনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, এই বিষয়ে আমরা কোনো কথাই বলতে চাই না। আমরা বে-খেয়াল থাকতে চাই।’ জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে সব সময় তাঁদের নেতারা স্থানীয় দায়িত্বশীল
নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকেন।
অতীতে বিএনপি স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করেছে এমন ভোটেও
তাঁদের নেতারা প্রার্থী হয়েছিলেন। জামায়াতের সূত্র জানায়,
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি
নিয়েছেন তাদের অনেক নেতা। স¤প্রতি দলটির উচ্চ পর্যায়ের
নেতাদের বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।এ
বিষয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম
বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না। কেউ
প্রার্থী হতে চাইলে জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা
করবেন।’ জামায়াতের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, আগে যারা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান
নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
সামাজিকভাবে যারা প্রতিষ্ঠিত এবং যাদের দল ও দলের বাইরে
গ্রহণযোগ্যতা আছে, এমন নেতাদের প্রার্থী হতে উৎসাহিত
করা হচ্ছে। যেহেতু উচ্চ আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল
করেছে, তাই দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।