ডান্ডিবার্তা | এপ্রিল ০৪, ২০২৪, ১২:২৮ | Comments Off on বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় মাকসুদ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা
রয়েছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান
প্রার্থী হিসেবে কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে নামলেও
সবচেয়ে বেশী আলোচনায় রয়েছেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পর
পর ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। এদিকেউপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মাকসুদ হোসেন নির্বাচনের
শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেয়ায় সমগ্র বন্দরজুড়ে
বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পাড়া,
মহল্লা, দোকানপাট এবং জনাকীর্ণ জায়গায় জনগণের মাঝে এ
ঘোষণাকে নিয়ে বেশ কৌতুহল দেখা গেছে এবং মাকসুদ
হোসেনের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বন্দরের আপামর
জনসাধারণ। প্রসঙ্গত, গত শনিবার অত্র উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন
পরিষদের মাঠে আয়োজিত এক সভায় সদর ও বন্দর আসনের সংসদ
সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বন্দরে আসন্ন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য দুজন চেয়ারম্যান
প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বক্তব্য দেন। বক্তব্য প্রদানকালে বর্তমান
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদকে
সমর্থন জানিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের
চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও অত্র উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে নির্বাচনের মাঠ থেকে
সরে যেতে বলেন এমপি সেলিম ওসমান। পরক্ষণে এ বিষয়ে উপজেলা
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মাকসুদ হোসেন বন্দর উপজেলাবাসীকে
উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। দ্বিধা-দ্ব›দ্ব ভুলে
যান। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। আপনারা যদি চান তাহলে
নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
আগামী ৮ মে আমাকে বিজয়ী করার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ
করুন’। মাকসুদ হোসেনের বিষয়ে জানা গেছে, ‘চলতি বছরের
জানুয়ারির শেষ দিকে তিনি প্রার্থী হবার ঘোষণা দেন। গত ২
মাস যাবৎ মদনপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত অর্থাৎ সমগ্র বন্দর
উপজেলায় চষে বেড়িয়েছেন। স্থানীয়দের আয়োজনে বন্দরের ৫টি
ইউনিয়নেই বিপুল সংখ্যক উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, প্রচার
ক্যাম্পের উদ্বোধন ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের আলোচনার
কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
বন্দরের বিভিন্ন প্রান্তের ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানায়,
‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা বিগত সময়ে তেমন কোন
প্রচারণা দেখতে পাইনি। মাকসুদ হোসেন তিনি যেভাবে
প্রচারণা চালিয়েছেন, ভোটারদের কাছে যেভাবে সময় দিয়েছেন
এবং যেভাবে মসজিদ মাদ্রাসায় সহায়তা করেছেন, তা
নজিরবিহীন। বন্দরে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের
ভোট পাবার মতো যোগ্য, দক্ষ ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব। যিনিআমাদেরকে সম্মান ও মূল্যায়ণ করেছেন তিনিই আমাদের ভোট
পাবার অধিকার রাখেন’।