আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:৪০

নিরবে চলে গেল বন্দরে গণহত্যা দিবস

ডান্ডিবার্তা | ০৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি কোন কর্মসূচি ছাড়াই নিরবে চলে গেছে বন্দরের গনহত্যা দিবস। প্রতি বছরে শহীদদের স্মরনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদের সমাধিতে পুষ্প অর্পন ও আলোচনা সভা আয়োজন করলেও এবার কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। এক কথা বলা যায় নিরবে কেটে গেছে বন্দরে গনহত্যা দিবস। আবার কেউ বলছে পবিত্র রমজানের। কারনে পালন হয়নি বন্দরে গনহত্যা দিবস। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আলবদর, রাজাকার এবং বিহারীদের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৫৪ জন হিন্দু-মুসলমান নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে সিরাজউদদৌলা ক্লাব মাঠে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে হানাদাররা। এরপর গান পাইডার ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয় মরদেহগুলো। সে দিনের কথা মনে হলে আজও শিউরে ওঠেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শী কাজী শহীদ জানান, ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল ভোরে রাজাকার এবং স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে বন্দর এলাকায় প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। ধ্বংসযজ্ঞ লীলায় উন্মত্ত হয়ে তারা পুড়িয়ে দেয় গ্রামের পর গ্রাম। এরপর নিরীহ মানুষদের ধরে এনে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে কেউ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কেউবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। তাদের রক্তে ভিজে যায় মাঠের সবুজ চত্বর। কিন্তু বর্বরতার এখানেই শেষ নয়। আশপাশের গ্রাম থেকে মুলি বাঁশের বেড়া এনে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ঘাতকেরা। নিমিষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় আহত ও নিহত ৫৪ জন নিরীহ মানুষের দেহ। গ্রামের অনেকেই দেখেছেন এ রোমহর্ষক নারকীয় দৃশ্য। বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ৫৪ জনের মধ্যে শনাক্ত হয় মাত্র ২৫ জনের মরদেহ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও থামেনি স্বজন হারাদের কান্না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা