আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৬:০২

জিয়া’র ম্যুরাল ভাঙ্গায় উত্তাল রাজনীতি

ডান্ডিবার্তা | ০৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া শহীদ জিয়া হলের উপরে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। নেতাকর্মীরা নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় তুলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন। শহীদ জিয়া হলের স্মৃতি ফলক ভাঙার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন ও বন্দর উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক সাকিব রায়হান এর তাৎক্ষনিক মশাল মিছিল বের করে। শহীদ জিয়া ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলোয় কঠোর হুশিয়ারি ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই সরকার নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের অবদান মুছে ফেলতে চাইছে, কারণ তারা বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। নারায়ণগঞ্জ জিয়া হল থেকে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের প্রতিটি হৃদয়ে রয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেলে। এতে করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি কারা এই শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেললো তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুনরায় নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ। প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। মাশুকুল ইসলাম রাজিব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দিনে দুপুরে ব্যাংক ডাকাতি, দ্রব্য মুল্যের লাগামহীনতা, ঘুষ, দূর্নীতি, লুটতরাজ কিছুই তো বন্ধ করতে পারলেন না শুধু ভোট ডাকাতি আর প্রকল্পের নামে লুটপাট করা ছাড়া তাদের কোন অর্জন নেই। যাইহোক মানুষের আবেগ, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার জায়গায় আঘাত করে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল সরিয়ে উনার নাম পরিবর্তন করে এখানে অন্যকিছু হয়তো ক্ষমতার জোরে এখন করতে পারবেন। কিন্তু মানুষের অন্তর থেকে এ নাম কখনো মুছে ফেলা যাবেনা। যা দিনদিন বাড়বে আর বেড়েই চলেছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই সরকার নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের অবদান মুছে ফেলতে চাইছে, কারণ তারা বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। রাতের আঁধারে তার আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেলে। এতে করে নারায়ণগঞ্জ যুবদলের নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের প্রতিটি হৃদয়ে রয়েছে। ইনশাল্লাহ এখানে আবারো পুনরায় নির্মাণ করা হবে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। আর আওয়ামী লীগের এসকল অপকর্মের বিচার একদিন হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রাণকেন্দ্র জিয়া হলে পবিত্র রমজান মাসে, রাতের আধারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূর‌্যাল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এতে আমরা মর্মাহত, দুঃখিত, ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ। জিয়াউর রহমানের মূর‌্যাল ভেঙ্গে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে উনিই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি নিজ হস্তে যুদ্ধ করেছেন। উনি ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করেছেন। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে সংসদের দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জে গডফাদার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রমাণ দিয়েছে যে উনি আসলেই গডফাদার। উনি প্রতি হিংসা পরায়ন, শান্তিপূর্ণ কাজ করতে পছন্দ করেন না। উনি রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জিয়াউর রাহমানের মূর‌্যাল কেটে সন্ত্রাসীর পরিচয় দিয়েছেন। শামীম ওসমান শান্তিুপূর্ণ নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চায়। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলেন, আমরা কোনদিন শেখ মুজিবর রহমানের কোন ছবিতে হাত দেইনি। আজকে উনার এই কর্মকান্ডে তীব্র নিন্দা জানাই। অপরদিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা ন্দিা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা