ডান্ডিবার্তা | এপ্রিল ০৮, ২০২৪, ১২:০৩ | Comments Off on নারায়ণগঞ্জ আ’লীগে নিরবতা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শহরময় এখনো থামেনি আলোচনা সমালোচনার ঝড়। বিএনপির
প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মরণে নগরীর চাষাঢ়াস্থ জিয়া হলে
তৈরিকৃত জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার ঘটনায় ফুটপাতের
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিকাঙ্গন পর্যন্ত চলছে
চুলচেড়া বিশ্লেষণ। অবশ্য, পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করতে এরইমধ্যে
সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় বিএনপি
নেতাকর্মীদের মুখে অভিযুক্ত’ ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ
সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তবে, এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে
তেমনভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেননি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের হর্তকর্তারা। গত
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চাষাঢ়াস্থ শহীদ জিয়া হলের সামনে ভাঙা
অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জিয়াউর রহমানের স্মরণে নগরীর
চাষাঢ়াস্থ জিয়া হলে তৈরিকৃত জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। এ নিয়ে
সরেজমিনে এসে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ
মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তাদের অভিযোগ, এমপি শামীম ওসমানের সরাসরি নির্দেশে ভাঙা
হয়েছে নগরীর চাষাঢ়াস্থ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল। তবে এ সকল
অভিযোগ নাকচ করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমপি শামীম
ওসমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, নগরীর চাষাঢ়ায় শহীদ জিয়া হলের
উপরে থাকা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর
রহমানের ম্যুরাল বিএনপির লোকজন নিজেরাই ভেঙে অন্যের ওপর দায়
চাপিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইকে মুঠোফোন করা হলে
তার স্ত্রী ফোনটি রিসিভ করে বলেন, উনি বাসায় আছেন। তবে,ঘুমাচ্ছেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি
আনোয়ার হোসেন মুঠোফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি নামাজে
আছি। পরে কথা বলবো। পরবর্তীবে আবারো ফোন করা হলে
প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে তিনি ফোনটি কেটে দেন। এমতাবস্থায়
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর
রহমানের ম্যুরাল ভাঙার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ’।
কেননা, ম্যুরল ভাঙার পর বিএনপি নেতারা এ নিয়ে সরাসরি সংসদ
সদস্য শামীম ওসমানকে দোষারোপ করেছেন। পরবর্তীতে এমপি শামীম
ওসমানও সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি
বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল বিএনপির লোকজন নিজেরাই ভেঙে
অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই হিসেবে
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতারা বিষয়টি
নিয়ে তাদের নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া জানানো অবশ্যই উচিৎ ছিল।
কেননা, তারা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভিভাবক। তাদের এই চুপ
থাকা ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ অন্তঃকোন্দল হিসেবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে
বলে মনে করছেন বোদ্ধারা। আর তাতে বোঝা যায় আওয়ামীলীগের দ্ব›দ্ব
এখনো শেষ হয়নি।