বন্দর আ’লীগের নাজুক অবস্থা!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্য হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। ভেঙ্গ পড়েছে চেইন অব কমান্ড। আওয়ামীলীগই আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলছে ঘায়েল করার রাজনীতি। ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে স্থানীয় এমপি আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএ রশিদকে বিনা ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান করতে অন্য দুই প্রার্থীকে নিয়ে নানা ধরনের কুৎসাসহ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিলে দেখা দেয় বিপত্তি। বতর্মানে বন্দরে আওয়ামীলীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আর কমতে শুরু করেছে এমএ রশিদের পক্ষের সমর্থন। আর প্রকাশ্যে বিরোধে নামেন নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও এমএ রশিদকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগের অনেকে অপর প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের সাথে গোপন বৈঠক করছেন বলেও একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাদের মিশন রশিদ ঠেকাও। কাউন্সিলর সিরাজকে ইতিমধ্যে ধমগড় আওয়ামীলীগ তার পদ থেকে বহিস্কার করেছেন। তবে কাউন্সিলর সিরাজ এখনো কোন কাগজ পাননি বলে জানান। তিনি মাকসুদ হোসেনের বিভিন্ন উঠান বৈঠকে প্রকাশ্যে এমএ রশিদের বিরোধীতা করে বলেন, আমি কাগজ হাতে পেলে আদালতে যাব। কোন বলে তারা আমাকে বহিস্কার করে। যেখানে সরকার উপজেলা নির্বচনকে গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে কেহ নির্বচনে অংশ নিতে পারবেন এবং যে কেহ যাকে খুশি তাকে সমর্থন করতে পারবেন। আর আমি ভাল লোক হিসাবে মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন করায় নাকি তারা আমাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিস্কার করেছেন। যেখানে দল উম্মুক্ত করেছে এবং দল কাউকে দলীয় মনোনয়ন নেয়নি তা হলে আমি কোন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। তিনি আরো বলেন, এমএ রশিদ বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য করেছেন। তিনি দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। মদনপুর ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী এমএ সালামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রুহুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমএ সালামকে পরাজিত করতে চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাকে তিনি সফল হননি। অপরদিকে ধমগড় ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মাসম আহাম্মেদ বিপক্ষে গিয়ে অপর প্রার্থী কামল হোসেনের ভাই আজিজের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করেছে। যে এমএ রশিদ রিকশায় চড়ার পয়সা পেত না সে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিনা ভোটে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হয়ে এখন কোটি টাকার গাড়ি হাকিয়ে বেড়ান। তার এত টাকার উৎস কোথা থেকে আসে তা জনগণ জানতে চায়। এমএ রশিদ বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগকে ভঙ্গুর দশায় পরিনত করেছেন। তবে সদ্য প্রয়াত বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান দলকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এমএ রশিদের কারনে তা তিনি করতে পারেননি। এমএ রশিদের সামনে অনেকে হুজুর হুজুর করলেও তাকে কেহ পছন্দ করেন না। তিনি বন্দর আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করেছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের অনেকে রশিদ ঠেকাও মিশনে মাঠে রয়েছে। কেহ প্রকাশ্যে আবার কেহ গোপনে। এভাবেই বন্দরে আওয়ামীলীগের অবস্থা নাজকু হয়ে পড়েছে। দলকে শক্তিশালী করতে নতুন ভাবে সাজাতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই ত্যাগীদের প্রধান্য দিয়ে আওয়ামীলীগেকে সাজাতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।