গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া-জ্বর-ঠান্ডা ও হিট স্ট্রোকের প্রকোপ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে তীব্র গরমে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, গলাব্যাথার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। গতকাল বুধবার শহরের সদর জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) ও খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তীব্র গরমে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। এদিকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট রয়েছে বলে জানা গেছে। খানপুর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. আবুল বাশার জানান, আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়া তেমন নেই তবে ঠান্ডা জ্বরের প্রকোপ বেশি। ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্তরে এখানে আসছেন বেশি। এটা প্রতি বছর এ সময়ে বেড়ে থাকে। কোভিডের জন্য এরকমটা নয়। তবে আগে আক্রান্তরা দ্রæত সেরে উঠলেও এবার সময় লাগছে। এর আগে রোগীদের সেরে উঠতে সপ্তাহের মত সময় লাগলেও এবার আক্রান্তদের সুস্থ হতে ১৫ দিনের মত লাগছে। তিনি এ অবস্থা থেকে বাঁচতে শহরবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোদে না যাওয়া, বাইরে ঘুরাফেরা না করা, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বয়স্করা শিশু, হার্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগীদের গরমে বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ কারণ হিটস্ট্রোক যেন না হয়। বাইরের খাবার যেন আমরা না খাই। হটাৎ বৃষ্টি এলে ভিজবো এরকমটা যেন না হয় এতে জ্বর চলে আসে। চেষ্টা করবো ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে, পানি বেশি পান করতে। বাইরে যেতেই হলে ছাতা নিয়ে যাব অথবা মাথার উপরে একটা সুতি জামা কাপড় রাখবো। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান জানান, আমাদের সদর জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) ডায়রিয়ার রোগী আসছে। আশঙ্কাজনক হারে বলা যাবেনা তবে একটু বেড়েছে। এ হাসপাতালে নিয়মিত ২শ থেকে ২৫০টি করে স্যালাইন প্রতিদিন লাগছে। স্যালাইন নিয়ে আমরা একটু সংকটের মধ্যে আছি। এপ্রিল মাসে প্রতি বছর ডায়রিয়াটা বাড়ে, অন্যান্য বছরের মতই বাড়ছে। তিনি স্যালাইনের সংকটের বিষয়ে বলেন, তেমন সংকট নেই আমাদের নিয়মিত সরবরাহ আছে। আবার লাঙ্গলবন্দে আমাদের স্যালাইন লেগেছে সেখানে ডায়রিয়ার রোগী ছিল। সেখানে আমাদের ১০টি মেডিকেল টিম কাজ করেছে। জ্বর ঠান্ডার বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বর ঠান্ডাও আছে। প্রচÐ গরম, হিট স্ট্রোকের একটা প্রকোপ আছে তাই শহরবাসী অবশ্যই ঢিলেঢালা সাদা কাপড় পরিধাণ করবে, পর্যাপ্ত পানি পান করবে এবং বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাবেনা।