বন্দরে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জমে উঠছে বন্দর উপজেলা নির্বাচন। আর এনিয়ে প্রার্থীরা মিছিল মিটিং ও উঠান বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তাদের সমর্থকরা জড়াতে শুরু করেছে সংঘাতে। ইতিমধ্যে বন্দরের মদনপুর লাউসারে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনে বাধা ও এক প্রার্থীর সমর্থকার অপর প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটানোর সংবাদ পাওয়া গেছে। যা নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছে সাধারণ ভোটাররা। দিন যতই যাচ্ছে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে শুরু করেছে। প্রার্থীর সমর্থকরা সুষ্ঠু নির্বাচনে যেন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এমন অভিমত সাধারণ ভোটারদের। গতকাল বৃহস্পতিবার মদনপুরের লাউসারে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বচিনী ক্যাম্পের কার্যক্রমে বাধা দেয় এক মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামীরা। এতে করে এলাকায় দেথা দেয় উত্তেজনা। আর এনিয়ে ঘটতে পারে রক্সক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা। এছাড়া মুছাপুরে সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের পিটিয়ে রক্সক্ত জখম করেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। মুছাপুরটি সেই প্রার্থীর নিজস্ব এলাকা হওয়ায় তার প্রভাব দেখিয়ে অপর প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা চালিয়ে আহত করে। যা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এভাবে যদি সঘাত বাড়তে থাকে তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফের উপজেলা নির্বাচন হয়ে উঠবে প্রশ্নবিদ্ধ। সাধরণ ভোটাররা মনে করেন জয় পরাজয় একটা হবেই এটা মেনে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। যারা নির্বাচনের আগেই প্রভাব বিস্তার করে অপর প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তাহলে তারা নির্বাচনে জয়ি হলে কি ধরনের নির্যাতন করবে তার প্রমাণ এখন থেকে পাওয়া যাচ্ছে। তাই এ ধরনের প্রার্থীকে বয়কট করাটাই উত্তম। বিগত সময় উপজেলা নির্বাচনে যারা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তাদের কোন বাহিনী ছিল না। তারা সন্দর ভাবে সময়গুলি পার করেছেন। তারা সাধারণ মানুষের উপর বা অপর প্রার্থীর কর্মীদের উপর কোন প্রভাব এমনকি প্রতিশোধ মূলক কোন কর্মকান্ড করেনি। আর এবার ঘটছে তার ব্যতিক্রম। একজন নতুন প্রার্থী হয়ে সে এবার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে আর তার সমর্থকরা অপর প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হাসলা করছে। যার ভবিষ্যত ভারো নয় বলে মনে করছেন ভোটাররা। আর বন্দর উপচেলা নির্বাচন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে।