আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:১৪

চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা

ডান্ডিবার্তা | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য ২ হাজার ৮০০টি নিবন্ধিত ট্যাংক লরি রয়েছে। এছাড়া আরও আছে ১০০টি ট্যাংকার। কিন্তু এসব ট্যাংক লরি বা ট্যাংকারে কোনও ডিজিটাল লক নেই। আবার কোনও ট্র্যাকিং সিস্টেমও নেই। ফলে জ্বালানি তেল পরিবহনের সময় চুরি হওয়ার মতো ঘটনা যেমন ঘটে, তেমনি এসব লরি ভেজাল তেল পরিবহন করলেও কারও কিছু করার থাকে না। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, স¤প্রতি এসব ট্যাংক লরি ও ট্যাংকার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য প্রতিটি ট্যাংক ও লরিতে ডিজিটাল লক স্থাপন করা হবে, যাতে পরিবহনের সময় যেকোনও জায়গা থেকে কেউ ট্যাংক লরি খুলে তেল চুরি না করতে পারে। অথবা এই ট্যাংক লরিতে ভেজাল না মেশাতে পারে। এ ধরনের লক খুললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মালিকের কাছে সংকেত পৌঁছে যাবে। সেখানে যদি একই সঙ্গে ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা থাকে তাহলে মালিক দেখতে পারবেন কোথায় ট্যাংক লরিটি অবস্থান করছে। বড় জাহাজ বা রেলের অয়েল ট্যাংকারে করে জ্বালানি তেল ডিপো থেকে ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এর বাইরেও ডিপো থেকে তেল আবার ফিলিং স্টেশনে স্থানান্তর করে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়। সা¤প্রতিক সময়ে দেশের পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, ওজনে কম দেওয়ার পাশাপাশি ভেজাল তেলও বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ভেজাল তেল বিক্রি করার বিষয়টিকে জ্বালানি বিভাগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। গ্যাসক্ষেত্রের উপজাত কনডেনসেট (বর্ণহীন অথবা ঈষৎ হলুদ বর্ণের তরল হাইড্রোকার্বন) পেট্রোল এবং অকটেনে মিশিয়ে ব্যবহার করার অভিযোগ বেশ পুরনো। তবে পেট্রোবাংলা ও বিপিসি কঠোর হওয়ায় পেট্রোল পাম্প মালিকরা এই ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তবে ইদানীং আবার জ্বালানি তেলে ভেজাল পাওয়ায় এবার তেলের ট্যাংকারগুলোকে নজরদারিতে আনার চিন্তা করছে সরকার। জ্বালানি বিভাগের সা¤প্রতিক এক বৈঠকে ট্যাংক লরিতে ডিজিটাল লক ও ট্র্যাকিং সিস্টেম সংযোজন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জ্বালানি সচিব নূরুল আমিন অবিলম্বে ট্যাংক লরিতে ট্র্যাকিং সিস্টেমের সঙ্গে ডিজিটাল লক স্থাপনের নির্দেশ দেন। জ্বালানি সচিব নূরুল আমিন বলেন, প্রথম পর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্যাংক লরিতে এই পদ্ধতি সংযোজন করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ট্যাংক লরিগুলোও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। সরকার স¤প্রতি দেশের জ্বালানি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জিপিএস ম্যাপিং করেছে। জ্বালানি তেল ও সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখন জ্বালানি পরিবহনকে ডিজিটালাইজেশন করার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা