আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:৩৫

উত্তাল বন্দর উপজেলা নির্বাচন

ডান্ডিবার্তা | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব শেষে ১১ জন প্রার্থীদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই বন্দরে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৮ মে দেশজুড়ে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও এ দিন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ ১১ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বন্দরে নির্বাচনী মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ চালিয়ে জনসাধারণের কাছে হাজির হচ্ছেন। সেই সাথে উঠান বৈঠক, আলোচনা-সভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে নির্বাচনী মাঠ অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত বুধবার সকালে যাচাই-বাছাই শেষে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১১ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও দুইবার সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মুছাপুর ইউনিয়নের সদ্য পদত্যাগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার পুত্র মাহমুদুল হোসেন। যদিও এর একদিন আগে আতাউর রহমান মুকুল ও আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী মাহমুদুল হোসেন যথাক্রমে করখেলাপি ও মনোনয়নপত্রে মামলার তথ্য লুকানোর অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের দিন শুনানি শেষে এ আবেদন খারিজ করে মুকুল ও আবু সুফিয়ানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। বন্দরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নানা সভা-সমাবেশে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। সময় যত গড়িয়ে যায়, অনেকেই এ নিয়ে জনসমাগমে সরব হয়ে উঠেন। এলাকায় বাসিন্দাদের সাথে কুশল বিনিময়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করেন। তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে কয়েকজন আগ্রহী প্রার্থী পিছু হটলেও নির্বাচনী ময়দান প্রাণবন্ত করে রেখেছিলেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকসেদ হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ। নানা আলোচনা সভা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নিজেদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রার্থীতা ঘোষণার পর তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা পুরোদমে চালু হয়েছে। এতে করে নির্বাচনী মাঠে চমক আসছে বলে বলছেন বন্দরবাসী। তারা বলছেন, প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্মুক্ত নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মূলত, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই ভোটারদের মূল্যাবান ভোট পাওয়া সম্ভব। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বন্দরের নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়ালেও নির্বাচন প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে নির্বাচনী মাঠ আরও উত্তপ্ত হবে। প্রার্থীরা ফেব্রæয়ারি থেকেই নির্বাচনী মাঠে তারা কাজ করে আসছিলেন। প্রার্থীতা বৈধ্য হওয়ার পর থেকে তারা আরও সরব হয়ে উঠেছেন। মাঠে-ঘাটে, পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করে বেরাচ্ছেন তারা। হেভিওয়েট প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাই এবার উৎসবমুখর পরিবেশে বন্দর উপজেলা নির্বাচন হবে বলে আশা করছে ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্দরে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন জমে উঠছে। সেই সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদের কাছেও এটি হবে নতুন চ্যালেঞ্জ। তাকে চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বদের সাথে লড়াই করে ভোটারদের কাছে টানতে হবে। এমএ রশিদের বিপরীতে চ্যালেঞ্জার হিসেবে রয়েছেন দুইবারের সাবেক বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ার‌ম্যান আতাউর রহমান মুকুল এবং মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। আতাউর রহমান মুকুল বন্দর উপজেলায় দুই কার্যকাল যাবৎ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে বন্দরে তার বেশ সুনাম রয়েছে এবং জনসাধারণের মাঝে তার বেশ প্রভাব রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল এমএ রশিদকে শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্ব হিসেবে দেখছেন। ফোন আলাপে মুকুল বলেন, শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্ব হিসেবে আমি রশিদ ভাইকে দেখি। উনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, সেই সাথে আওয়ামী লীগের একজন সুনামখ্যাত নেতা। তাই নির্বাচনী মাঠে তার সাথেই আমার প্রতিদ্ব›িদ্বতা কঠিন হবে। তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে আমি জয়ী হবো। জনগণ আমার সাথে আছেন। জয়ের পথে আমি এগিয়ে আছি। জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই মাকসুদ হোসেনও। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এ চেয়ারম্যান অনুসারীদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হেভিওয়েট প্রার্থী প্রসঙ্গে কথা হলে মাকসুদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান পদে যারা আমার প্রতিদ্ব›িদ্ব আছেন, তাদের সবাইকেই আমি হেভিওয়েট হিসেবে বিবেচনা করি। সবার সাথেই আমার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে নির্বাচন করতে হবে। আমি আমার মতো করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। আল্লাহ চাইলে আমি এ নির্বাচনে জয়ী হবো। এদিকে, নির্বাচনী মাঠে শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্ব থাকার পরও অটল রয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিসদের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ। ফোন আলাপে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে যারা আমার সাখে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন তাদের সকলকেই সমান চোখে দেখছি। সকলের সাথেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে আমার জয়লাভ করতে হবে। আর এর জন্য পাশে আছেন আমার জনগণ। জনগণের জন্য আমি দীর্ঘ সময় কাজ করেছি, আর এ জন্য আমি জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি। বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তুলেছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে, কে ভোটে জয়লাভ করবেন তা ফুটে উঠেবে ভোটের দিন এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা