বন্দরে প্রার্থীদের আচরনবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নিজেদের ভোটের পাল্লা ভারি করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। প্রতিদিন প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লীদের সাথে নামাজ আদায় করে কুশল বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘণ করে বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে নগদ অনুদান দিয়ে এবং ভোটের পরে আরও অনুদানের আশ^াস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আর সবকিছু মিলিয়ে বন্দরে উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে। কোন কোন প্রার্থী রয়েছেন বড় নেতাদের আর্শিবাদের আশায়। আবার কেহ বড় ভাইয়ের উপর ভরসা করে বসে আছেন। বড় ভাই হুমকি ধমকি দিয়ে ভোট বাগিয়ে নির্বাচিত করে দিবেন। তবে এবার বন্দর উপজেলায় ভোটের মাধ্যমই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এটা প্রায় নিশ্চিত হয়েছেন বন্দরবাসী। গতবারের মত রাজনৈতিক কলাকৌশল করে পছন্দরে প্রার্থীকের বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত করে আনবেন এমনটা এবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বড় ভাইয়েরা। নানা কুৎসা রটিয়েও থামাতে পারেনি প্রার্থীদের। সকলেই মাঠে রয়েছেন। তবে অবাক হওয়ার বিষয় হলো একই পদে পিতা-পুত্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারা এ কৌশলটি নিয়েছেন বিগত ধামগড় ইউপি নির্বাচনে যখন আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক আজিজ মনোনয়ন নেন এবং নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষন করেন তখন বড় ভাইয়েরা কলকাঠি নাড়িয়ে তাকে বসানোর চেষ্টা করেন তখন আজিজ তার ভাইকে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বা করতে মাঠে নামিয়ে দেন। তখন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়ে যান। সেই কৌশলটি এবার নিয়েছেন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে পিতা-পুত্র। তবে পিতা-পুত্রের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছে সাধারণ ভোটাররা। সাধারণ ভোটারদের ধারনা ভোট কেন্দ্রে পিতাকে জয়ি করতে পুত্র নির্বাচনী আইনের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র জনবল বেশী দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে। এদিকে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারমান শান্ত মেজাজেই তার প্রচারনা চালাচ্ছেন। যা সাধারণ ভোটারদের মন কেড়েছে। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন নেতা হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। তাকে নিয়েও একটি পক্ষ মিডিয়াকে ব্যবহার করে কুৎসা রটানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যা সাধারণ ভোটাররা বুঝে গেছেন বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। সে সকল মিডিয়ার কারণে বস্তুনিষ্ট সংবাদকেও অনেকে বাঁকা চোখে দেখছেন। এবার বন্দর উপজেলা নির্বাচনে একে অপরকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন উঠান বৈঠকে কুৎসা রটানোর পাশাপাশি মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই পরিস্থিতি উত্তাল হতে শুরু করেছে। সমর্থকদের মধ্যে হানাহানি। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্ব›দ্ব, ড্যামি প্রার্থী রাখা সবকিছুই ভাল ইঙ্গিত বহন করছে না। তবে সংঘাত এরাতে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থানে থেকে প্রতিহত করতে হবে। আর সকলকে নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে হবে। একে অপরকে ঘায়েল করতে মিথ্যা প্রবাকান্ডা ছড়ানোর বিষয়ে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ মিথ্যা প্রভাকান্ডায় সংঘাতে দিকে ধাবিত করে। আর সংঘাত বেধে গেলে তা সামাল দিতে প্রশাসনকে অনেক ব্যাগ পেতে হবে। তাই এখনই সকলকে নির্বাচনী আচরনবিধি মানাতে বাধ্য করাটা প্রশাসনকে কঠোর চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে হবে। তবেই বন্দর উপজেলায় শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে। বন্দর উপজেলায় চেয়ার¤্রান পদে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান। ভাইস চেয়ারম্যান পদের লড়ছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মো. আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এড. মাহমুদা আক্তার ও বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা।