বন্দরে টাকার নেশায় মত্ত বিএনপি নেতারা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবেনা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। যার কারণে গত দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আগামী ৮মে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশকজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ নেমেছেন। নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে তারা এই নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না। আর কেহ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ বা কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নেয়া এমনকি কোনভাবে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত দ্বাদশ নির্বাচনে প্রার্থীর জনসমাবেশ শুনতে গিয়ে বহিস্কার হয়েছেন বন্দরের কয়েকজন জার্দেল নেতা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করলে কিংবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে তাকে বহিষ্কৃত হতে হবে। কিন্তু মহানগর বিএনপির শীর্ষ ওইসব নেতাদের অনুগামীরাই প্রকাশ্যে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তারপরও মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশকজন নেতা। এর মধ্যে মহানগর বিএনপির মুলধারার নেতাকর্মী রয়েছেন। তারা বিএনপির সিদ্ধান্তকে বৃঙ্গালি দেখিয়ে বিএনপির মুখে চুনকালি মেখে টাকার নেশায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। যার ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিএনপির মুখে চুনকালি মাখা নেতারা হলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী নূর উদ্দীন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আসাদুল্লাহ বাদলকে। একই সঙ্গে মাকসুদের পাশে দেখা গেছে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকেও। এ ছাড়াও মহানগর বিএনপির মুলধারার কমিটির অনুগামী বিভিন্ন স্তরের কর্মীর্ াপ্রকাশ্যে কাজ করছেন মাকসুদ হোসেনের পক্ষে। এমন ছবি স¤প্রতি ফেসবুকে প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারনে মহানগর বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, হাজী নুরুদ্দিন একজন পল্টিবাজ নেতা। সে স্বার্থের জন্য রাজনীতি করেন। সুবিধা বুঝে দল বদল করেন। যখন যার পাল্লা ভারি তখন সে তার দিকে ঝুকে যান। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে তারা বানিজ্যে নেমেছে বলে একাধিক নেতা অভিযোগ করেন। বিএনপি নেতারা এই পল্টিবাজ হাজী নুরুদ্দিনকে দল থেকে চিরতরে বহিস্কারের দাবি জানান।