আগাছামুক্ত আ’লীগ চায় তৃনমূল!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠন গুলি দীর্ঘদিন যাবত পূর্ণাঙ্গ কমিটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে নেতার অভাব নেই। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য আওয়ামী দরদী ব্যক্তির ছড়াছড়ি। কমিটি শূন্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ কমিটির মূল সংগঠন এবং অঙ্গসংগঠনে পদ পাওয়ার জন্য অসংখ্য আওয়ামী ভক্তদের মাঝে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার একটি অংশে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত জগদ্দল পাথরের মত নেতৃত্বে বসে থাকা অথর্ব কিছু নেতা, পাশাপাশি নব্য আওয়ামী লীগার সাজা বেশ কিছু পদলোভী ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকা এসব ব্যক্তি দলের প্রতি কোন ভালোবাসা থেকে নয় বরং ক্ষমতার লোভেই এ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেরই আশীর্বাদ রয়েছে এসব পদলোভী অসামাজিক ব্যক্তিদের প্রতি। এদের দাপটে আওয়ামী লীগের অনেক পরীক্ষিত তাগী নেতা কর্মী নীরবে নিভৃতে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে।নব্য আওয়ামী লীগার এসব ব্যক্তি দলের নেতৃত্বে আসলে তা কোন অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। দীর্ঘদিন যাবত মাঠের রাজনীতিতে অত্যন্ত দক্ষ আওয়ামী লীগকে মাঠের পরীক্ষায় নামতে হয়নি। ভবিষ্যতে মাঠের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে পরীক্ষায় নামতে হবে না তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তেমন পরীক্ষার সময় অকার্যকর নেতৃত্ব এবং নব্য আওয়ামী লীগারদের খুজেও পাওয়া যাবেনা কারণ এরা শুধুমাত্র ক্ষমতার বলয়ে থাকতেই পছন্দ করে। বর্তমান অকার্যকর নেতৃত্ব দিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা অসম্ভব। ক্ষমতার লোভে প্রতিযোগিতায় নামা নব্য আওয়ামী লীগেরদের দিয়েও আওয়ামী লীগ লাভবান হবে না। আওয়ামী লীগের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হলে ত্যাগী, পরীক্ষিত,সৎ এবং জনগণের আস্থা রয়েছে এমন নেতৃবৃন্দকে সামনে নিয়ে আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে আগাছা মুক্ত করে দক্ষ ত্যাগী নেতাকর্মীদের সসম্মানে যথাযথ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার এখনই সময়। লেখক: বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানী ও পোশাক শিল্পের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা।