আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৩৯

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে এ কোন খেলা!

ডান্ডিবার্তা | ২১ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে নেয়া হচ্ছে নানা কৌশল। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীকে প্রলোভন, রাজনৈতিক চাপ, পেশী শক্তিসহ নানা ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে একপ্রার্থী তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকি প্রার্থীদের রাখা হয়েছে নানা চাপে। আর এ নিয়ে গত শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান। এম এ রশিদ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলয়ের এবং আবু সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মেয়র আইভী বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সাইরা গার্ডেন রিসোর্টে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল। এম এ রশিদ ও এ কে এম আবু সুফিয়ানকে নিয়ে বৈঠক শেষে একসঙ্গে ছবি তুলে হাসিমুখে বিদায় নেন তারা। এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় সাইরা গার্ডেন রিসোর্টে প্রবেশ করেন আবু হাসনাত শহীদ বাদল। তাঁর আসার বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছিল। প্রায় ২০ মিনিট গাড়িতে অবস্থান করার পর তাঁকে নিয়ে বসানো হয় রিসোর্টের রিসেপশন রুমে। এরপর সাড়ে ৭টায় উপস্থিত হন বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ রশিদ। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে উপস্থিত হন এ কে এম আবু সুফিয়ান। পরে রিসেপশন কক্ষেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মুখোমুখি বের হন। প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও পরে একে একে মুখ খোলেন তিনজনই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত আছে। আজকে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। আমাদের দলের যে দুজন প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা একজন হয়ে গেছেন। অর্থাৎ, একজন প্রার্থী বসে গেছেন। কে থাকছেন সেটা আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ বলেন, ‘আজকের আলোচনার বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী রোববার প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়ে দেব। আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা-কর্মী সেদিন আমাদের পাশে থাকবেন। সেই কনফারেন্সে এলে আপনারা বিস্তারিত জেনে যাবেন।’ একই বিষয়ে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদল ভাই আমাদের ডেকে কথা বলেছেন। আমরা একসঙ্গে বসে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা আপনারা রোববার জেনে যাবেন। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ তবে বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দুই প্রার্থীর মধ্যে এ কে এম আবু সুফিয়ানকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হস্তক্ষেপ না করতে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমপি-মন্ত্রীরা যেন প্রার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ না করে, সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসাহিত করা হয়েছে একাধিক প্রার্থিতায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা