বন্দরে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ত্রীমুখি লড়াইয়ে এলাকা উৎসব মুখর
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইস্তাফিজুল হক আখন্দ এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। চেয়ারম্যান পদে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ – দোয়াত কলম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি মাছ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান হেলিকপ্টার প্রতীক বরাদ্দ পান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানাউল্লাহ সানু উড়োজাহাজ, মোঃ আলমগীর হোসেন মাইক, মোঃ মোশাঈদ রহমান তালা ও শহিদুল ইসলাম জুয়েল টিউবওয়েল প্রতীক বরাদ্দ পান। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালিমা হোসেন শান্তা ফুটবল ও মাহমুদা আক্তার – কলস প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর এখন চেয়ারম্যান পদে প্রতিযোগী আছেন মোট চারজন। এই চারজনই গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। এরই মধ্যে একটি চক্র নির্বাচনকে বানচাল করে সিলেকশনের মাধ্যমে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমেই পদ নির্ধারণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রার্থী ও ভোটারসহ পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী মাঠ সরব হয়ে উঠে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি নিয়ে কাজ করেন এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, প্রথম দিকে প্রকাশ্যে নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের লোককে পদে অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি এখন গোপন মিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রধান ও সরকার প্রধান নির্বাচনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করার কারণে এখন তা আর প্রকাশ্যে করা হচ্ছে না বলে প্রার্থীরা সবাই সর্বশক্তি ও সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের জয়ী করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন ৫ জন। এরা হলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ। গত সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন আবু সুফিয়ান। যার ফলে চেয়ারম্যান পদের সর্বশেষ প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান শুভ তার পিতা মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন দিয়ে বসে যেতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা। ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে আছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মো. আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা।