অস্বিত্ব সংকটে বন্দরের আ’লীগ!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে বন্দরে এবার আওয়ামীলীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আওয়ামীলীগ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি পক্ষ চায় আওয়ামীলীগের মান রক্ষা করতে আর অপর পক্ষটি চায় এম এ রশিদকে ঠেকাতে। যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ইশারা ইঙ্গিতে চলছে কাঁদা ছোড়াছোড়ি। এবার আওয়ামীলীগের একটি বিশাল অংশ এমএ রশিদকে চায় না। তারা এমএ রশিদের পরাজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী বিরোধীদের সাথে ঐক্য করতেও ধিধ্বা করেনি। যার করনে এমএ রশিদকে সিটি করপোরেশন এলাকার নেতাদের নিয়ে সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করতে হচ্ছে। যাদের উপজেলায় কোর ভোট নেই। সভা সমাবেশে অধিকাংশ নেতাই সিটি করপোরেশন এলাকার। এদের মধ্যে কেহ কেহ বির্তকিতও রয়েছে। যাদের দেখলে ভোট কমবে কিন্তু তাদের কথা বাড়বে না। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ। আর এ কারণে অনেক নেতার বিরুদ্ধে বির্তকিত কর্মকান্ডের বদনাম রয়েছে। এর মধ্যে যারা উপজেলার ভোটার তাদের অনেকে গোপন বৈঠকে বসের আওয়ামী বিরোধীদের সাথে। যার কারণ তারা চায় রশিদ ঠেকাতে। এদিকে এমএ রশিদ বিভিন্ন সমাবেশে বলেন, আমি দুনীর্তি করিনি এবং কোন দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়নি। সেরকম কেহ হয়তো আমার বিপক্ষে কাজ করতে পারে। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগ সব সময় বিজয়ী হয়ে এসে এবারও কেহ ষড়যন্ত্র করে আমাদের পরাজিত করতে পারবেনা। আমি মনে করি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা আওয়ামীলীগের মান রাখবে। এদিকে যারা আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করতে আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে তাদের মুখোশ এ নির্বাচনে উম্মুক্ত হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। যদিও আওয়ামীলীগ সরকার উপজেলা নির্বাচনকে প্রাণবন্ত করার জন্য নির্দলীয় করেছেন তবু দলের একটা সমর্থন রয়েছে। আমি দলের প্রার্থী। আমাকে ভোট দিয়ে দলের মান রক্ষা করা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। এদিকে আওয়ামীলীগের একটি পক্ষ প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাথে গোপনে বৈঠক করে যাচ্ছে। তাদের টার্গেট এবারের নির্বাচনে কিছু হাতিয়ে নেয়া। যার দরুন তাদের কেহ প্রকাশ্যে আবার কেহ গোপনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যপারে আওয়ামলিীগের একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদ আওয়ামীলীগের সভাপতি তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি দলের অভিভাবক। আমরা দলের অভিভাবক হারাতে চাইনা। যেকোন মূল্যে তাকে বিজয়ী করে আনতে হবে। যারা সেই রাজাকার পরিবারকে ভোট দেবে তারা দেশের স্বাধীনতার সাথে বেঈমানী করবে। আমরা মনে করি কেহ দেশের স্বাধীনতার সাথে বেঈমানী করবেনা। ভোটাররা ৭১’এর শহীদদের মার্যদা রাখবে। সব মিরিয়ে জমে উঠছে বন্দর উপজেলা নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সরগর হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।