চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন মামলা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করেছে ২য় স্ত্রী সুলতানা বেগম। গতকাল বুধবার বিকালে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা থেকে জানা যায়, গত রবিবার মাকসুদ চেয়ারম্যান কয়েকজন বন্ধুদের সাথে নিয়ে রাত ১১ টায় তার স্ত্রী সুলতানা বেগমের পিত্রালয়ে যান। এ সময় তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের করা একটি যৌতুক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। তখন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। চেয়ারম্যান মাকসুদ তার স্ত্রীকে বলেন, ওয়ারিসি সম্পত্তি এখন বিক্রয় না করিলে পরে আর ওয়ারিস নেয়া যাইবে না, তাই সম্পত্তি বিক্রয় করে মাকসুদ চেয়ারম্যানের হাতে দিলে তা ভাল ব্যবসায় কাজে লাগাবো এবং তাকে নিজ বাড়ি তুলে নিয়ে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখবেন বলে ফুসলাতে থাকে। এর সাথে পূর্বের যৌতুকের মামলাটি তুলে ফেললেই সুলতানা বেগম ও তাদের কন্যাকে নিয়ে সংসার করবেন বলে আশ্বাস দেন। এসময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য ফুসলিয়ে ব্যর্থ হয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন মাকসুদ চেয়ারম্যান। যৌতুক মামলা তুলে না নিলে খুন করে ফেলবেন বলে স্ত্রীর দিকে তেড়ে আসেন তিনি। এঘটনায় তাদের মেয়ে শ্রাবন্তী বাধা দিলে লাথি দিয়ে সড়িয়ে দেন এবং স্ত্রীকে মারপিট শুরু করেন। মাকসুদ চেয়ারম্যান তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দ্যেশে গলায় পাড়া দিয়ে শ^ার রোধ করারা চেষ্টা করলে এ সময় মা’কে বাচাতে আসেন তাদের মেয়ে শ্রাবন্তীকেও মারধর করেন। পরবর্তীতে ২ জনকেই মারধর করে করে হুমকি দিয়ে বলে আবারও মামলা করবি, মেরে মাটিতে পুতে ফেলবো। এ ঘটনায় মাকসুদ চেয়ারম্যান তার স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তানকে নির্যাতন করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যপারে ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।