অবাঞ্চিত ঘোষনা দিয়ে বঞ্চিতদের কান্না!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা নাটকিয়তা। বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে কতই না কলা কৌশল চালিয়ে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ নেতারা। দলের লোক প্রার্থী হওয়ায় দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে স্খানীয় এমপিকে বাদ দেয়নি কুট কৌশল চালাতে। এমপিকে দিয়ে হুমকি, জেলা পর্যায়ের নেতাকে দিয়ে হুমকি এমনকি নিজেও হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন। আওয়ামীলীগ যেখানে চাচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন যেন অংশগ্রহণ ও উৎসব মুখর হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতারা প্রার্থী হয়ে তা ভুলে গিয়ে দলের সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়িত করে নানা ভাবে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বে মুছাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমকি দিয়ে বলেন, আমি দেখবো কত বড় ছিরু হয়েছেন। নিজেদের শক্তিবান হিসেবে জাহির করার জন্য ইউনিয়নবাসীকে জিম্মি করে রেখেছেন। এখন উপজেলাবাসীর প্রতি সেই দৃষ্টি, তা হতে দেয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। তিনি আরো বলেন মনে রাখবেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার থাবা সিংহের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। এর আগে গত ২১ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল ওরফে ভিপি বাদল। প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেন। আর নিয়ে বন্দরে হাসি তামাশা শুরু হয়েছে। চলছে আলোচনা সমালোচনা। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদের এ কৌশল তাকে ডুবাবে। এমপিকে দিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীকে হুমকি দেয়ানোর পর থেকে এম এ রশিদের ইমেজ অনেকটা কমেছে। ভিপি বাদলকে দিয়ে মুকুলকে হুমকি দেয়ার ফলে এম এ রশিদের ভোট কমেছে। এদিকে সুফিয়ান নাটক নিয়ে বন্দরের সর্বত্র আলোচনায়। আবু সুফিয়ান নির্বাচন আসলেই আবু সুফিয়ান হাঁকডাক ছেড়ে নানা নাটকের আবহ তৈরি করেন। পরে নিজেই পর্দার আড়ালে চলে যান। তার এই নাটকের পেছনে কী কারণ তা কেউই বুঝতে পারেন না। শহরবাসী এখন এক বাক্যে আবু সুফিয়ানের রাজনৈতিক দৈন্যদশা ও ইতির চিত্র দেখছেন। তারা বলছেন, আবু সুফিয়ান আইভী বলয় থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন শুন্য অবস্থানে আছেন। সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হলেও যে তিনি কোন পদ পাবেন তারও সম্ভাবনা নেই। সূত্র জানিয়েছে, নানা দিবস আর নির্বাচন আসলেই আবু সুফিয়ান নাটক শুরু করেন। কথায়, দাম্ভিকতা আর বেশভুষায় এতোই বড়াই করেন যে, তিনি অত্যন্ত ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। বিশেষ করে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে সুফিয়ান সদর-বন্দর আসনে নির্বাচন করার জন্য ঢাকঢোল পেটান। পরে সেখান থেকে সরে আসেন। পরে আবার উপজেলা নির্বাচনের আগে লম্ফঝম্ফ করলেও সেখান থেকে পিছটান দেন। এবারের উপজেলা নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর কোথাও ‘টু’ শব্দও ছিল না আবু সুফিয়ানের। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আবু সুফিয়ান। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের কাছে নিজেই ঢোল পেটান এবার তাকে থামানো যাবে না। তিনি বন্দর কাঁপাবেন। তবে সবাই তখন বলেছিলো, আবু সুফিয়ানের এটা পুরনো নাটক। আবু সুফিয়ান এবার বন্দর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। আর এ নাটকের মাধ্যমে এম এ রশিদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন বলে বন্দরে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এ ব্যপারে বন্দরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, এবারের নির্বাচনটি উৎসক মুখর হবে। কেউ বাধা দিলে আওয়ামীলীগ সরকার ছাড় দেবে না। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ভিপি বাদলরা ভোটের মাঠে জনগন দ্বারা বঞ্চিত সে আবার অন্যকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। তাদের এ নাটক এখন বন্দরবাসী জানেন। তাদের হুমকিতে কেহ ভীত নয়। তাই এবারের নির্বাচন হবে উৎসব মুখর।