দালালদের বহিস্কার চায় বিএনপির তৃনমূল
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। তার পরেও দলের সিদ্ধাকে বৃঙ্গাুলি দেখিয়ে পদে থাকা কিছু স্বার্থলোভী নেতাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বিভিন্ন কর্মকাÐের কারণে দিন দিন হতাশাগ্রস্থ হচ্ছেন বিএনপির বহু নেতাকর্মী। তাই বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা দালিালদের বহিস্কার দাবি করেছে। জানা গেছে, বন্দর উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে জাতীয় পার্টির নেতা বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের পক্ষে জোরদার কাজ করে যাচ্ছেন সেই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। উনি উনার ৫টি ইউনিয়নের নেতাদেরকে বিভিন্ন ভাষায় হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন মাকসুদ চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করতে আর আনারস মার্কায় তাকে তার পরিবারকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর উপজেলা বিএনপির বহু নেতাকর্মী হিরণে অতিষ্ঠ হয়ে পরছেন। তা ছাড়া অনেকে রাজনীতি ছাড়ার মতো নানা পরিকল্পনা ও শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে কিছু বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভাষ্য দিয়ে আসছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নির্বাচনে ও ভোট প্রয়োগে এর একটির মধ্যে ও অংশ নিতে না। কিন্তু দফায় দফায় বিএনপির উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে যা মানা যায় না। যদি বিএনপি করে ও আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির নেতাদের ভোট দিতে হয়। তাহলে দেশের এতো বড় একটি বিরোধী দলের সাথে যুক্ত থেকে কি লাভ। এদিকে মাকসুদ চেয়ারম্যানের আনারসের পক্ষে কাজ করলেও ভোট দিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেওয়ার আশ্বাস ও দেওয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের। তা ছাড়া হিরণের এমন কর্মকান্ডে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচনে অর্থ আয়ের পথ খুঁজছে ইউনিয়নের দায়িত্বরত বহু নেতাকর্মী। অনেকে আছেন আতাউর রহমানের মুকুলের পক্ষে আবার কেউ আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এম. এ রশিদের পক্ষে তা ছাড়া এই কর্মকান্ড উপজেলা বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। কিছু উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ও বন্দরে থাকা বিএনপির ভোট ব্যাংক বিক্রি করতে নানা অর্থ বানিজ্য করছেন। ইতিমধ্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী নুরুদ্দিনকে মাকসুদের সাথে তার পক্ষে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। এদিকে এই নুরুদ্দিন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হলেও রাজনৈতিক কিছু সমস্যায় তিনি তার থেকে দূরে সরে গেছেন। তাছাড়া মুকুলের কোথায় কি ভোট, কোথায় ভোট বেশি পাবে, কারা ভোট দিতে পারে মুকুলের ভিতরগত আরো বহু তথ্য জানা আছে এই নুরদ্দিনের যাকে ঘিরে মাকসুদ চেয়ারম্যান হাজী নুরদ্দিনকে বিভিন্নভাবে টোপ হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর সেই টোপে নুরদ্দিন নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে মার্কাও চলে এসেছে, এখন মিছিল-মিটিংয়ে স্বগরম বন্দর। এমতাবস্থায় বিএনপির আরো বহু হাইব্রিড নেতাদের দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। বর্তমানে হিরণের এখন প্রকাশ্যে বিভিন্ন কর্মকান্ডে বন্দর বিএনপির রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। এদিকে মাজহারুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে বিএনপির ভোট মাকসুদের হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের কাছ থেকে ৫টি ইউনিয়নের ইফতার পার্টির কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছিলেন আড়াইলক্ষ টাকা। পরে কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের হাতে তুলে দেন ১ লক্ষ টাকা। আর ২৫ হাজার করে ৫টি ইউনিয়নে বাটোয়ারা করেছেন আর বাকি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিজের পকেট নিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে না থেকে আর কিছু আত্মীয় স্বজনদের পাঠিয়ে দিয়েছে মাকসুদ চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করার লক্ষে। তাছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদের নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন স্থানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিত রেখে ক্যাম্প উদ্ভোধন করতে ও দেখা গেছে। এদিকে সভাপতি হিরণ বন্দর উপজেলায় আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের আগে থেকেই বলে রেখেছেন, প্রকাশ্যে কিছু করার দরকার নাই, গোপনে গোপনে শুধু নির্বাচনের দিন ভোট দিয়ে আসলেই চলবে। আর বর্তমানে যেহেতু আমাদের দল ক্ষমতায় নেই মাকসুদ ভাই বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হলে আমাদের সুবিধা এমন আশ্বাস পূর্ব থেকেই তার বলয়ের নেতাকর্মীদের দিয়ে আসছেন হিরণ। পরে আড়াইলাখের ঘটনায় শহরে প্রকাশ্যে আসলে তিনি পুরো বেপারোয়া হয়ে উঠেন। উনি পরবর্তীতে প্রকাশ্যেই রাতের আধাঁরে তারাবি নামাজের পর মাকসুদের কাছ থেকে দুই দফায় ৮ লাখ পরর্তীতে আরো কয়েক দফায় বিএনপির ভোট ব্যাংক বিক্রির নামে টাকা এনেছেন আর সেগুলো কিছু অসাধু নেতাদের সাথে বন্টন করে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন বলে জানা গেছে। তার এই টাকার ঘটনাও বন্দরের সকলের মুখে মুখে চলে আসলে ২৬ রমজান থেকে পা ভাঙ্গার দোহাই দিয়ে বলেন বাসায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে হিরণ সকলকে বলছেন। অপরদিকে বন্দর উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও এই হিরণ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আটকে রেখেছেন। আর বর্তমানে ফোন করে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বলছেন মাকসুদের পক্ষেই থাকতে। সে সময় বিভিন্ন নেতাকর্মী বলে উঠে যে আমরা কোন টাকা পাই নাই। তখন তাদের হুমকিসহ চাপ প্রয়োগ করে আবার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সমস্যা নাই সামনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তোমাকে ভালো এটি স্থানে রাখা হবে। হিরণের এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ বিএনপি আর ধ্বংস হচ্ছে বন্দর উপজেলা বিএনপির রাজনীতি। তাছাড়া বন্দরে বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মিলে একত্রিত হয়ে জায়গার ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছেন এই হিরণ। যাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথেই তার উঠা বসা। এদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে আছেন বিএনপি যার কারণে রাজপথে সক্রিয় দেখা যায়নি এই হিরণকে। শুধু কিছু টাকার উপরে ভর করেই বনে গেছেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এরপর থেকেই বন্দর বিএনপির মাথা বিক্রি করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন এই কথিত রাজনৈতিক ব্যক্তি মাজহারুল ইসলাম হিরণ।