তীব্র গরমের সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচÐ প্রখর রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। গরমের কারণে দুপুরের পর শহরের প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ক্লান্ত শরীরে গাছের ছায়ায় বসে থাকছেন শ্রমজীবী মানুষ। গ্রামেও দেখা মিলছে একই চিত্র। তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বাইরের অঞ্চলে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। এতে করে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে আরো একধাপ। নারায়ণগঞ্জ শহরের পাশাপাশি বন্দরসহ গ্রামেও বিদ্যুতের যাওয়া আসা খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমের শুরুতেই বিদ্যুতের এই যাওয়া আসার খেলায় মিশ্রপ্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে জনসাধারনের মাঝে। গ্রামঅঞ্চলে দিনের বেলা মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করলেও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনগন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে লোডশেডিং সেভাবে নেই। বিদ্যুতের মেইনটেনস এর কাজ চলমান থাকায় মাঝে মধ্যে লাইন টেনে কাজ করা হচ্ছে। শহরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, গরমের জন্য বাসার মধ্যে থাকা যায় না। এর মধ্যে দিনে ও রাতে চার থেকে পাঁচ বার করে কারেন্ট চলে যায়। সবমিলিয়ে দিনে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। এ সময় ঘরে থাকা যায় না, ঘুমানো যায় না। আর বিদ্যুতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসায় গ্যাস-পানিও থাকে না। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের প্রায় সব উপজেলাতেই গরম শুরু হওয়ার পর ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ আসলেও পুনরায় টেনে নেওয়া হচ্ছে। আর কয়েক দিন ধরে সারা দেশে অস্বাভাবিক তাপদাহ বিরাজ করছে। প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কিন্তু গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকারে পৌঁছে গেছে। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। শহরের রিক্সা চালক রজব আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে যে গরম পড়ছে তাতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তার মধ্যে রিক্সা চালানো খুবই কঠিন। কিন্তু কি করবো পেট বাঁচানোর জন্য তো রিক্সা চালাতেই হবে। তাই রিক্সা নিয়ে বের হচ্ছি। একদিকে তীব্র রোদ আর অন্যদিকে গরমে জমির পানি দ্রæত শুকিয়ে যাওয়ায় পানির চাহিদা বেড়ে গেছে। কৃষকরা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ডিপটিউবওয়েল গুলোতে ধর্না দিচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মত না থাকায় সময় মত পানি না পেয়ে জমিতে পানি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে পানির অভাবে ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা। সোনারগাঁর কৃষক আবুল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় জমিতেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না ফলে ধানের ক্ষতি হতে পারে। গরমের শুরুতেই যদি বিদ্যুতের এমন ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে পরবর্তিতে আরো জমির ফসলের ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।