শহরে চাঁদা না দেয়ায় হামলা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শহরের ডিআইটি রেলি বাগান এলাকায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উপর্যোপুরী কুপিয়েছে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি এবং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের রাম দা ও দাড়ালো ছুরির আঘাতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে ২জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৯টায় রেলি বাগান ডিআইটি করিম মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নেয়া হলে সেখানে ফিল্মি স্টাইলে আবারো দু দফা অতর্কিত হামলা ও উপর্যোপুরি কোপের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় ভুক্তভোগীরা। আহতরা হলো- বাবলু, শরীফ, পাভেল, স্যাকলাইন, মোসা. হোসনে আরা। পরবর্তিতে উপায় না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচার চেয়ে আবেদন করলে গত ১৮ এপ্রিল বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্র্যাটের বিচারক কাউসার আলম সদর মডেল থানার পুলিশকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। ওই সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্তরা হলো- জল্লার পাড়া এলাকার আলী আজমের ছেলে তানভীর, সে গত ২০ এপ্রিল একটি মামলায় হাজতভোগ করছে, এছাড়াও রেলি বাগান এলাকার আলী হোসেনের ছেলে শাহআলম, আলম চান, লাল চান, জিমখানার আলী আজমের ছেলে বাবু, থানার পুকুর পাড় এলাকার মৃত আরশাদের ছেলে বাবু, জিমখানা এলাকার রকসি, হোসেন, সোবহান, রেলি বাগানের কাউসার জামান ভূইয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, রাশেদুল ইসলামের ছেলে অপু, আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার ছেলে রায়হান ভূইয়া, জিমখানার মামুন, নাছির, রিপন, হৃদয় ও সাগর এই ১৭জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১৫জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এদিকে, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা চিহ্নিত মাদক কারবারির মামলায় ও কিশোর গ্যাংয়ের আসামী হওয়ায় তাদের হুমকীতে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে। পাশাপাশি ওইসব সন্ত্রাসীরা এখনও এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরছে বিধায় যেকোন মুহুর্তে তারা আবারো কোনো দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশংকা করছে। এতে করে আইন শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটার আগেই পুলিশের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী সেবা প্রত্যাশা করছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। খুব শিঘ্রই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।