নির্বচনী আমেজে উত্তাল না’গঞ্জ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। আগামী মে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আগামী ২১ মে রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়ে গেছে। আর বন্দর উপজেলায় প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা প্রচারনায় সময় পার করছেন। সরকার দ্বাদশ নির্বচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের অনাগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখে উপজেলা নির্বচনটি ভোটর উপস্থিতি ও উৎসব মুখর করার জন্য নির্বচনকে উম্মুক্ত করে দেন। এ নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক থাকবে না। যে কোন দলের লোক নিরপেক্ষ ভাবে এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। সরকার নির্বাচনী আমেজ ফিরিয়ে আনতে উপজেলা নির্বাচন দলীয়করণ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যার কারণে অনেক দলীয় লোক এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। কারণ দলীয় ভাবে নির্বাচন হলে ক্ষমতার সুযোগ পেতেন। তা এবার আর হচ্ছে না। যেহেতু কোন দল নেই নির্বাচনে সকলেই উম্মুক্ত। তার পরেও অনেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছেন। চাচ্ছেন এমপিদের দিয়ে নির্বাচনী ম্যাকানিজম করে বৈতরনী পার হয়ে যাবেন। কিন্তু এবার তা হবে না বলে অনেক আওয়ামীলীগ নেতা জানান। নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা নির্বাচনটি বাকি উপজেলার জন্য টেষ্ট হিসাবে ধরা হবে। বন্দর উপজেলার নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় তবে বাকি উপজেলার ভোটাররা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ পাবে। আর এ উপজেলায় কোন রকম মেকানিজম হয় তবে বাকি ৩ উপজেলার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করেন অনেকে। যা নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। গতকাল শনিবার বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়ে তাদের দলের প্রার্থী তেমন সুবিধা করতে পারবেন না। তার কারণ হলো তিনি নেতাকর্মীদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখেনি। যার করনে অনেতে তার প্রতি নাখোশ। মূলত তার পক্ষে উপজেলার ভোটাররা নামছেন না। তিনি সিকি এলাকার লোক নিয়ে প্রচারনা করছেন। তিনি ভাবছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালীরা মেকানিজম করে তাকে জিতিয়ে দেবেন তা এবার হবে না। তিনি বিগত সময় পর পর ২ বার উপজেলা নির্বাচনে চরম ভাবে ভরাডুবি হয়েছে। অবশেষে গতবার নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়ে তার আশা পূরন করেন। প্রকৃত পক্ষে তাকে ভোটাররা চান না। এবার যেহেতু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে তাই তিনি সেই প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মেকানিজম করে পুনরায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অনেক কুটকৌশল করেছেন। কিন্তু এখনো তিনি সফল হতে পারেননি। তবু তিনি আশা ছাড়েননি। নির্ভাচনের সময়ও তিনি সেই পথ নিতে চাচ্ছেন প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাকে জিতিয়ে দিবেন। কিন্তু এবার প্রার্থীরা অনেক শক্ত তার সেই আশা পুরন হবে না বলে মনে হচ্ছে। তিনি এখনও বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় ভোটারদের আকৃষ্ট করার মত বক্তব্য দিতে পারেননি। সে নিজেকে শুধু জাহির করছেন। আর প্রতিপক্ষকে হুমকি দিচ্ছেন। যার দরুন তার ভোট কমছে বলে মনে করছি। তবে আমরা মনে করি এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে থাকবে।