আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৫

রাত ৮টায় বন্ধ হচ্ছে না অধিকাংশ মার্কেট

ডান্ডিবার্তা | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রাত ৮টার পর সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও মানছে না নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মার্কেট মালিকরা। তারা ডিপিডিসির নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান-পাট ও মার্কেট খোলা রাখছেন। দেখার যেন কেউ নাই। অভিযোগ রয়েছে, মার্কেটগুলো সাপ্তাহিক বন্ধও রাখেনা। পুরো সপ্তাহজুড়ে মাকের্ট খোলা রাখছে। এ নিয়ে দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও তারা নিরুপায়। বাধ্য হয়ে তাদের পুরো সপ্তাহ কাজ করতে হয়। সরেজমিনে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চাষাড়া বঙ্গবন্ধু সড়কের লুৎফা টাওয়ার, প্যানোরমা প্লাজা, সায়েম প্লাজা, হাসান প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেট খোলা দেখা গেছে। দিব্বি মার্কেটের দোকান খোলা রেখে ব্যবসায়িরা পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন। শুধু চাষাড়া এলাকায় নয়, পুরো শহরজুড়ে বিভিন্ন মার্কেট খোলা দেখা গেছে। তবে কোন কোন মার্কেট ৮টার মধ্যেই বন্ধ করতে দেখা গেছে। যদিও তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রাত ৮টার পর সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। গত ২৫ এপ্রিল রাত থেকেই এই নির্দেশনা কার্যকর করেছে। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাতে শহরের বিভিন্ন সড়কে ডিপিডিসির পক্ষ থেকে মাইকিং করে দোকানিদের সতর্ক করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ি তা আমলে নিচ্ছে না। ডিপিডিসি জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাত ৮টার পর কোনো মার্কেট-দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং সবাই তীব্র গরমে বিদ্যুৎ পাবে। ডিপিডিসি আরও জানায়, সবার কথা চিন্তা করে অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। রাত ৮টার পর দোকান খোলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডিপিডিসির নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস (এনওসিএস) অফিসের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শের আলী বলেন, ‘সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎসংকটের আশঙ্কা থাকে। তাই এই সংকট মোকাবিলা করতে ও লোডশেডিং কমাতে রাত ৮টার পর থেকে সব মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এই নির্দেশনা আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি। যারা এ নির্দেশনা মানবে না, আমরা তাদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করবো। এরপরও সতর্ক না হলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্নও করা হতে পারে। এই নির্দেশনা বছরজুড়েই বহাল থাকবে।’ এ বিষয়ে জেলা দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আরিফ দিপু বলেন, গত ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমরা নোটিশ পেয়েছি। যেহেতু মার্কেট- দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে, আমাদের সেই নির্দেশনা মানতে হবে। সবাইকে এই নির্দেশনা অনুসরণ করার অনুরোধ করছি।’ ওদিকে একাধিক মার্কেটের দোকানের কর্মচারীরা জানান, মালিকরা পারলে ঈদের দিন দোকান খোলা রাখতো। পুরো মাসজুড়ে দোকান খোলা রাখে। সাপ্তাহিক ছুটি পাই না। শুক্রবার ছুটির দিন কিছু কিছু মার্কেট বন্ধ থাকলেও নগরীর অধিকাংশ মার্কেট খোলা রাখা হয়। আমরা চাই প্রতিটি মার্কেট সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ রাখা হোক। তাহলে সাপ্তাহে অন্তত একদিন কর্মচারী তথা সেলসম্যানরা ছুটি পাবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা