বন্দরে বিক্রি হচ্ছে বিএনপি নেতারা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে পূঁজি করে বিএনপি নেতারা কোরবানীর পশুর মত বিক্রি হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেহ প্রকাশ্যে আবার কেহ গোপনে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছে বিক্রি হচ্ছেন। বন্দরে মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও যুগ্ম আহবায়ক হাজী নুরুদ্দিন দলীয় সিদ্ধান্তকে লাথি মেরে নিজের পকেট ভারি করতে জাতীয়পার্টির প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের কাছে বিক্রি হয়েছেন। শুধু তিনিই নয় তার সহযোগি আমিনুল, ফরিদসহ বেশ কয়েকজনকে তিনি বিক্রি করেছেন। তারা প্রকাশ্যে কলাগাছিয়া এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ ব্যপারে বিক্রি হওয়ার বিএনপি নেতা আমিনুল বলেন, আমরা মাকসুদ হোসেনের পক্ষে কাজ করছি। আমাদের নেতা হাজী নুরুদ্দিনও তার পক্ষে রয়েছেন। আমি ও ফরিদসহ অনেকে হাজী নুরুদ্দিনের নেতৃত্বে মাকসুদের পক্ষে আছি। অপরদিকে মদনপুরে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ নিজেকে মোটা দামে মাকসুদের কাছে বিক্রি হয়েছেন। সেই বিক্রি টাকা নিয়ে তার সহযোগিদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছে। গরু বিক্রির মত বিএনপি নেতাদের বিত্রি হওয়া নিয়ে বন্দরের সর্বত্র হইচই পড়ে গেছে। বিএনপির তৃনমূল নেতারা এসকল বেঈমানদের দল থেকে চিরতরে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন। নেতাকর্মীদের অিভিযোগ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে জাতীয় পার্টির নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে ভোট দেওয়ার জন্য ৫টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের চাপ ও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন কথিত নেতা বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গের কারণে তার বহিস্কার চায় বন্দরের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনকে বয়কট করলে ও হিরণ স্বার্থলোভে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিতর্কিত প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের পক্ষে বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের থেকে আনারস মার্কায় ভোট চাইছেন আর মাকসুদকে বিএনপির ভোট ব্যাংক দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি অনেককে মাকসুদের কাছে বিক্রি করছেন। তার কথা না শুনলে ৫টি ইউনিয়নের নেতাদেরকে বিভিন্ন ভাষায় হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন মাকসুদ চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করতে আর আনারস মার্কায় তাকে তার পরিবারকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। যাকে ঘিরে রাজনীতি ছাড়ার মতো নানা পরিকল্পনা ও শুরু করে দিয়েছে অনেকেই। তা না হলে ত্যাগী নেতাদের ধরে রাখতে এমন স্বার্থলোভী হিরণের বহিষ্কারের জন্য মহানগর বিএনপির আহŸায়ক, সদস্য সচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এদিকে মাজহারুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে বিএনপির ভোট মাকসুদের হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের কাছ থেকে রমজানে আড়াই লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে এটাকা নিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে নেতাদের মধ্যে মত বিরোধ দেখা দেয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদের নির্বাচনী প্রচারনার বিভিন্ন স্থানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিত রেখে ক্যাম্প উদ্ভোধন করতে ও দেখা গেছে। এদিকে সভাপতি হিরণ বন্দর উপজেলায় আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাকসুদের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন বলে একাধিক কর্মী অভিযোগ করেন। তারা বলেন, যেহেতু বিএনপি এ নির্বাচনে নেই আমরা এ নির্বাচন বয়কট করলাম। আমরা নির্বাচনে কোন প্রকার সহযোগিতা করবনা এবং ভোট দিতে যাব না। অপর দিকে বন্দর উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও এই হিরণ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আটকে রেখেছেন। আর বর্তমানে ফোন করে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বলছেন মাকসুদের পক্ষেই থাকতে। নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ নিবার্চনকে ঘিরে সুবিধা না করতে পারলে ও মাকুসদকে ঘিরে মোটা অংকের লাভবান হচ্ছেন হিরণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির একটি ভোট ও মাকসুদ পাবে না এমনটাই বলছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই হিরণকে তার কর্মকান্ডের ফল পেতে হবে বলে জানান নেতাকর্মীরা। আমরা হিরণ ও হাজী নুরুদ্দিনসহ যারা এ নির্বাচনে দলের বাইরে গিয়ে সহযোগিতা করছে তাদের বহিস্কার দাবি করছি।