উপজেলা নির্বাচনে কাউকে সমর্থন করবে না বিএনপি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই এই সরকার এবং এই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করেছে এদেশের মানুষ। সারা দেশের মতো বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরাও ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করেছে। এজন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বন্দর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ অবৈধ সরকার দেশে উপজেলা নির্বাচনের আয়োজন করেছে। এই নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলা প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব। তাই আমরা আজ এসেছি বন্দর উপজেলা নির্বাচনে যাতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ না করে সে লক্ষ্যে সকলকে সচেতন করার জন্য। আজকের পর থেকে বন্দর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেবে না। যদি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বন্দর উপজেলায় আমাদের কোন প্রার্থী নেই। যে বিএনপির নাম ভাঙ্গে উপজেলা নির্বাচন করছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর অনেকে বলেছেন মুকুল উপজেলা নির্বাচন করছে। শুধু মুকুল না কারো পক্ষেই নির্বাচন করা যাবে না। আর মুকুল তো বহিষ্কৃত সে দলের নাম বিক্রি করছে তাকে কি আমরা দলের নাম বিক্রি করতে দিব। সে বিভিন্ন জায়গায় সাক্ষাৎকারে বলে বন্দর বিএনপি তার সাথে রয়েছে এটা কি সত্য, সত্য না এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে ৮ মে তা প্রমাণ করতে হবে। ৮মে কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না এবং জনগণকেও ভোট দিতে দিবেন না। আমাদের এই কেন্দ্রীয় নির্দেশ ও মহানগর বিএনপি’র নির্দেশনা না মেনে যারা গোপনে গোপনে কিছু কিছু প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করছেন আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করছি আপনারও চিহ্নিত করেন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট বর্জনের লক্ষ্যে কর্মী সম্মেলন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, বিএনপি’র দলীয় হাইকমেন্ডের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে মানতে হবে এছাড়া কিন্তু আমরা দল করতে পারবো না। আপনারা কি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান নাকি এই ফ্যাসিবাদু শেখ হাসিনার অধীনের উপজেলা নির্বাচন চান। যদি আপনারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তাহলে এই উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জন করতে হবে। কেন বর্জন করবেন বিগত এই ১৫ বছরে এই শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কোন নির্বাচনে কিন্তু সুষ্ঠু হয়নি। তাদের অধীনে কারচুপি, ডামি নির্বাচন আর দিনের ভোট রাতে হয়ে থাকে। তারা আমাদের মা মাটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা কারারুদ্ধ করে বিনীত বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান দীর্ঘ সেই আট হাজার মাইল দূর থেকেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজকে তাকে দেশে আসতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের গণতন্ত্রের অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই আর মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে বারবার কারাবন্দি করা হচ্ছে। তাহলে কি এ ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ করা উচিত। যদি উচিত হয়ে থাকে তাহলে এই প্রশাসনের নির্বাচন জননেতা তারেক রহমানের ডাকে আমরা গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই নির্বাচনে ২ পার্সেন্ট ভোট পড়িনি। সেদিন ভোটকেন্দ্রে কুকুর ও পশু পাখি শুয়ে ছিল। তেমনিভাবে আগামী ৮ মে নির্বাচনে বন্দর উপজেলার কোন ভোট কেন্দ্রে আপনারা যাবেন না। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহŸায়ক ফতেহ রেজা রিপন, আহŸায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক শেখ সেলিম আহমেদ,বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ মাহমুদ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক নাসির উল্লাহ্ টিপু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মামুন ভূঁইয়া, সিনিয়র সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ্ মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মো. মোহসিন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব রাইয়্যানসহ পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।