দলীয় চাপে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহন কাল বুধবার। এর মধ্যেই নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতে ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধা করে দিতে দুই চেয়ারম্যান মধ্যে চাপ দিয়ে যাচ্ছে তাদের দল থেকে। এরা দুইজন হলেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। এরা দুইজনই নিজ দলের নেতাদের রোষানলে পড়েছেন। এবার বন্দর উপজেলা নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করে মুকুলকে চাপে ফেলে দিল খোদ মহানগর বিএনপি। নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড নানা বক্তব্যে দিলে ও তা কানে নেয়নি খোদ বন্দর বিএনপির বহু নেতাকর্মীরা। কিন্তু যখনই দ্বাদশ নির্বাচনের মতো করে লিফলেট বিতরণ শুরু হলো বন্দরে এর পর থেকেই মুকুলকে সমর্থক দেওয়া বহু বিএনপির নেতাকর্মী এখন অনেকে গোপনে কাজ করছে। তাছাড়া মুকুলকে নিয়ে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ও সদস্য সচিব নানা জ¦ালাময়ী বক্তব্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাকে ঘিরে ভোটের লড়াইয়ে এটার একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ভয়ে ভোট দিতে আসবেনা। অনেক কর্মী ইতিমধ্যেই ভয়ে কোনঠাসা হয়ে পরেছে। অপরদিকে এমপির বক্তব্যের পর এবার নিজ দলীয় নেতারাই মাকসুদের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি মাকসুদ আহামেদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি অত্যন্ত সুশৃংখল একটি দল। এই দলের টেইন অফ কমান্ড অত্যন্ত মজবুত। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করার সুযোগ এই দলে নেই। শীগ্রই প্রেস রিলিজের মাধ্যমে মাকসুদের বহিস্কার আদেশ কার্যকর করা হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল যিনি ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠনের পূর্বে তিনি ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এরপরও ২০১৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় স্থায়ী এমপির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেয়নি এই মুকল। তাছাড়া তিনি ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকারকে গোপনে গোপনে সমর্থন করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেননি। আর বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিস্কার করা হয়। তবে সেই নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকারকে বন্দরে এলাকায় পুরোপুরি সাপোর্ট দিয়ে নিজেও প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মুকুল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে দলীয় কোনো মিটিং কিংবা মিছিলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনি।