বিএনপিকে বিক্রি করছে নেতারা!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে জাতীয় পার্টির নেতা ও উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ৫টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের প্রলোভন দেখিয়েছেন কথিত নেতা বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। বিএনপি নেতা হাজী নুরুদ্দিন, আমিনুল ইসশা, শাহীনসহ অনেকে। যাদের দেখা যায় সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ঘুরাঘুরি করতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গের কারণে তার বহিস্কার চায় বন্দরের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনকে বয়কট করলে ও হিরণ স্বার্থলোভে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের থেকে আনারস মার্কায় ভোট চাইছেন আর প্রার্থীকে বিএনপির ভোট ব্যাংক দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। হিরণ ৫টি ইউনিয়নের নেতাদেরকে বিভিন্ন ভাষায় হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন আনারসের পক্ষে কাজ করতে আর আনারস মার্কায় তাকে তার পরিবারকে ভোট দেওয়ার জন্য। যাকে ঘিরে রাজনীতি ছাড়ার মতো নানা পরিকল্পনা ও শুরু করে দিয়েছে অনেকেই। তা না হলে ত্যাগী নেতাদের ধরে রাখতে এমন স্বার্থলোভী হিরণের বহিষ্কারের জন্য মহানগর বিএনপির আহŸায়ক, সদস্য সচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এদিকে মাজহারুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে বিএনপির ভোট সেই চেয়ারম্যান হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েচেন। অপর দিকে বন্দর উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও এই হিরণ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আটকে রেখেছেন। আর বর্তমানে ফোন করে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বলছেন মাকসুদের পক্ষেই থাকতে। নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ নিবার্চনকে ঘিরে সুবিধা না করতে পারলে ও মাকুসদকে ঘিরে মোটা অংকের লাভবান হচ্ছেন হিরণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির একটি ভোট ও মাকসুদ পাবে না এমনটাই বলছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই হিরণকে তার কর্মকান্ডের ফল পেতে হবে বলছে নেতাকর্মীরা।